উপত্যকায় ঢুকছে পাক লস্কর ও জইশ জঙ্গিরা
আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে পাক-জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়েছে। গত ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর ইদানীং আবার উপত্যকায় ঢুকতে শুরু করেছে জইশ ও লস্কর জঙ্গিরা। এমনই উদ্বেগের কথা তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া।
তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই উপত্যকা নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি। কারণ, নয়া তালিবান সরকারে বড় জায়গা দখল করে রেখেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট হক্কানি গোষ্ঠী, যাদের সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জইশ ও লস্করেরও যে শক্তিবৃদ্ধি ঘটতে চলছে, তা আগেভাগেই আঁচ করে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তায় বিশেষ মনোযোগী হয়েছে কেন্দ্র।
সেই আবহেই নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে বেশ কিছু আদিবাসী এলাকা থেকে অন্তত ৫০ জন পাক-জঙ্গি জুলাইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে। ওই জঙ্গিদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করছে হক্কানি গোষ্ঠী।
রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা শিখর ছুঁয়েছিল। পরের বছর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর বিলোপ এবং সেনা সমাবেশ বাড়ানোর পর তাতে অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের মসনদ তালিবান দখল করায় গোটা এশিয়ার ভূ-রাজনীতি বদলে গিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। বিগত দু-তিন মাসে সেখানে জঙ্গিদের সংখ্যা বৃদ্ধিই তার প্রমাণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।