— প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় সেনা এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হানার শিকার হতে পারে! উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করলেন ভারতীয় নিরাপত্তা গবেষকরা। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ‘ট্রান্সপারেন্ট ট্রাইব’ নামে হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী রয়েছে পাকিস্তানে। সেই গোষ্ঠীই সাইবার হানা চালাতে পারে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির উপর। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপরও এই সাইবার হানা হতে পারে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা গবেষকরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘সাইডকপি’ নামে ‘ট্রান্সপারেন্ট ট্রাইব’-এর একটি উপগোষ্ঠী রয়েছে। তাদেরই এই সাইবার হানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কেন আইআইটি এবং এনআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হানার ছক কষছে পাক হ্যাকাররা? বিশেষজ্ঞদের মতে মে মাস থেকে, আইআইটি, এনআইটি এবং দেশের একাধিক নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হানার চেষ্টা চলছে। ২০২৩-এর শুরু থেকে সেই চেষ্টা আরও বেড়ে গিয়েছে। এই বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে কাজ করে। আর সেই কারণেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত মেসেজিং অ্যাপের সাহায্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলির ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি, ভারতে বসে প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাকিস্তানে চালান করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)-র এক বিজ্ঞানী। মহারাষ্ট্রের জঙ্গি দমন শাখা বা এটিএস ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছে। এটিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ধৃত বিজ্ঞানীর নাম প্রদীপ কুরুলকর। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান, ‘মধুফাঁদ’-এ আটকা পড়েই পাকিস্তানে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন তিনি। তার পর থেকেই এই নিয়ে আরও তৎপর হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এই নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে উঠে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।