কুলভূষণের কাছে পৌঁছনোর ছাড়পত্র 

২০১৭-র এপ্রিলে চরবৃত্তির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের সামরিক আদালত ৪৯ বছর বয়সি কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভারতের চর অভিযোগে বন্দি কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে আগামিকাল ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের দেখা করার সুযোগ দেবে পাকিস্তান। ভারত জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হবে। এরই মধ্যে পাকিস্তান দাবি করেছে, আরও এক জন ভারতীয় গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেছে তারা। রাজু লক্ষ্মণ নামে ওই ব্যক্তিকে বালুচিস্তানে ঢোকার সময়ে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এই বালুচিস্তান থেকেই ভারতীয় নৌবাহনীর প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণকে চর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisement

২০১৭-র এপ্রিলে চরবৃত্তির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের সামরিক আদালত ৪৯ বছর বয়সি কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। তবে দু’দেশের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে গত ১৭ জুলাই দ্য হেগ-এ আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানকে। যত ক্ষণ না পর্যন্ত সে ব্যাপারে ফয়সালা হয়, তত ক্ষণ ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের তরফে অভিযোগ আনা হয়, কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির যুক্তি মেনে নিয়ে ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত।

এর পরেই ইসলামাবাদের তরফে আজ জানানো হয়েছে, আগামিকাল ভারতীয় কূটনীতিকদের জেলবন্দি কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে। নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বলেছেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানের বক্তব্য খতিয়ে দেখব। কূটনৈতিক স্তরেই ভারতের অবস্থান ইসলামাবাদকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

এরই মধ্যে আজ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ দাবি করেছে, লাহৌর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ডেরা গাজী খান শহর থেকে তারা রাজু লক্ষ্মণ নামে এক জন ‘ভারতীয় চর’কে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি যখন বালুচিস্তান থেকে ওই শহরে ঢুকতে চেষ্টা করছিলেন, তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি চরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছে। ঘটনা হল, একই ভাবে কুলভূষণকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল বালুচিস্তান থেকে। তবে ভারতের বক্তব্য, কূলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পরে ইরানে ব্যবসা করতেন কূলভূষণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement