জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান। ছবি: রয়টার্স।
গান্ডেরবালে জঙ্গি হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্য সেনাবাহিনীর। পুঞ্চে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি শাখা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করলেন নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকেরা। জঙ্গি হামলার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে তল্লাশি অভিযানে নামে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ‘কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইং’। তল্লাশি চলে শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, বান্দিপোরা, কুলগাাঁও, বদগাঁও, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ও বহু জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ এবং সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, লস্করের সমর্থনপুষ্ট যে জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, সেটির নাম ‘তেহরিক লবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম)। পাকিস্তানের লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর শাখা সংগঠন হিসাবেই উপত্যকতায় পরিচিত টিএলএম। এই সংগঠনটির নেতা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ‘বাবা হামাস’।
রবিবার গান্ডেরবাল জেলার সোনমার্গে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয় অন্তত সাত জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন শ্রমিক এবং এক চিকিৎসক। হামলার দায় স্বীকার করে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে এক জঙ্গিগোষ্ঠী। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা থেকে এই সংগঠনের জন্ম। কাশ্মীর উপত্যকায় এর আগেও একাধিক নাশকতামূলক কাজে নাম জড়িয়েছিল টিআরএফের। কাশ্মীর উপত্যকায় রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল এই জঙ্গিগোষ্ঠী।