লটারির টিকিট হাতে সদানন্দন।
একেই বলে ভাগ্যের খেল! সকালে লটারি কেটে বিকেলে কোটিপতি হলেন এক রংমিস্ত্রি। এ রকম ঘটনা মাঝেমধ্যে শোনা যায় ঠিকই, কিন্তু সদানন্দনের ক্ষেত্রে কাহিনিটা একটু অন্য রকম।
পাঁচশো টাক নিয়ে বাজার করতে বেরিয়েছিলেন কেরলের কোট্টয়মের বাসিন্দা সদানন্দন ওলিপারাম্বিল। কিন্তু দোকানি খুচরো না দেওয়ায় মহা বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। বাজারের কাছেই ছিল লটারির একটি দোকান। খুচরো করার জন্য কিছু টাকা দিয়ে লটারি কিনেছিলেন তিনি। তার পর বাকি টাকা নিয়ে ফের বাজার করতে চলে যান।
বিকেল হতেই এলাকায় হইহই পড়ে যায়। কেননা, ওই এলাকা থেকেই লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন এক জন। কিন্তু বিজয়ী কে সেটা তখনও কেউ জানতে পারেননি। সদানন্দনের কানে যখন খবর পৌঁছয় যে এলাকার এক জনের ভাগ্যে প্রথম পুরস্কার জুটেছে, তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। জামার পকেটে রাখা টিকিটটি বার করে সোজা লটারির দোকানের উদ্দেশে হাঁটা লাগান।
তখনও সদানন্দন আঁচ করতে পারেননি, যাঁকে নিয়ে এত হইচই সেই ব্যক্তি তিনি নিজেই। লটারির দোকানে টিকিটের নম্বরটা মেলাতেই আঁতকে ওঠেন সদানন্দন। ঠিক দেখছেন তো তিনি? আরও ভাল করে বার কয়েক টিকিটের নম্বর মেলান। দেখেন তাঁর কেনা টিকিটেই প্রথম পুরস্কার হয়েছে। যার মূল্য ১২ কোটি টাকা!
পেশায় রংমিস্ত্রি সদানন্দন যে প্রথম সুযোগেই ভাগ্যবিজেতা হয়েছেন এমনটা নয়। তিনি নিয়মিত লটারির টিকিট কিনতেন। তবে কোনও দিন খুব বেশি টাকা পাননি। কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ কোটি টাকা জিতলেও পুরো টাকাটা হাতে পাবেন না সদানন্দন। আয়কর কেটে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা হাতে পাবেন তিনি।