পি চিদম্বরম। —ফাইল চিত্র
আইএনএক্স মিডিয়া আর্থিক তছরুপ মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এ বার ওই মামলায় নতুন করে বিপাকে পড়লেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও। মঙ্গলবার তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে দিল্লির বিশেষ আদালত।
সোমবার আদালতে দু’টি আবেদন পেশ করে ইডি। তার প্রেক্ষিতে আদালত দু’টি বিকল্প দেয় ওই তদন্তকারী সংস্থাকে। কোর্ট চত্বরে আধ ঘণ্টার জন্য চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে অথবা তিহাড় জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। পাশাপাশি, আদালত ‘অভিযুক্তের মর্যাদা বিবেচনা করার’ নিদের্শও দেয় এ দিন। প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদনের সময় চিদম্বরম অভিযোগ করেন, সিবিআই তাঁকে জেলবন্দি করে অবমাননা করছে। এ দিন দিল্লির বিশেষ আদালতের দেওয়া দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নেয় ইডি।
সিবিআইয়ের পর ইডি-র নতুন পদক্ষেপে বিড়ম্বনা বাড়ল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। ইডি-র এই সক্রিয়তা নিয়ে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস। চিদম্বরমের কৌঁসুলি কপিল সিব্বল অভিযোগ করেন, ‘‘চিদম্বরমকে ৬০ দিন জেলবন্দি রাখাই ওদের পরিকল্পনা। তিনি সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই ইডি-র কাছে আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন।’’ আইএনএক্স আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে নাটকীয় কায়দায় চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে তিহাড় জেলে থাকতে হবে প্রথমসারির ওই কংগ্রেস নেতাকে। ইতিমধ্যেই ৪০ দিন জেলে কাটিয়েও ফেলেছেন চিদম্বরম।
আরও পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে দশ দিন তিহাড় জেলে কাটিয়েছিলেন অভিজিৎ়
আরও পড়ুন: বিজেপি করুন, এনআরসি সামলে দেব: বিতর্কিত মন্তব্য শঙ্কুর, দিলীপের বললেন, ‘ঠিক বলেছে’