P Chidambaram

মাল্যদের জন্য নিয়ম! নির্মলাকে তির চিদম্বরমের

গত কাল রাহুল গাঁধী বিজেপির বন্ধুদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে নির্মলা মঙ্গলবার রাতে ১৩টি টুইট করে পাল্টা আক্রমণে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।—ছবি পিটিআই।

নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যদের ঋণ মকুব করা হয়নি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনেই তা ব্যাঙ্কের এনপিএ-র খাতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, বকেয়া পাওনা আদায়ের চেষ্টা যেমন চলার, তেমনই চলছে বলে যুক্তি দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু তাঁকে বিঁধেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ প্রশ্ন ছুড়লেন— ঋণখেলাপি পলাতকদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রয়োগ করা হল কেন!

Advertisement

সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের প্রথম ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির নামের তালিকা প্রকাশ করে। যার একেবারে উপরেই ছিল নীরব মোদীর মামা মেহুল চোক্সীর গীতাঞ্জলি সংস্থা। একইসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার ঋণ রাইট-অফ করে দেওয়া হয়েছে বা এনপিএ-র তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চিদম্বরম বলেন, “এর মধ্যে নীরব-মেহুলদের সংস্থার ৮,০৪৮ কোটি টাকা বকেয়া ঋণ রয়েছে। আর এক পলাতক হিরে ব্যবসায়ী যতীন মেহতার ৪,০৭৬ কোটি টাকা, বিজয় মাল্যর ১৯৪৩ কোটি টাকা রয়েছে। এরা ঘোষিত পলাতক। কেউ ঋণ শোধ করতে পারেননি, কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ শোধ করেননি, কিন্তু দেশেই রয়েছেন— তাঁদের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু ঘোষিত পলাতকদের ক্ষেত্রে নিয়ম প্রযোজ্য হবে কেন? রাহুল গাঁধী যখন সংসদে এ সব নাম জানতে চেয়েছিলেন, তখন অর্থমন্ত্রী জবাব দেননি। এখন তো দিন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে করোনা রোগীদের উপর ‘সেপসিভ্যাক’ প্রয়োগ শুরু

গত কাল রাহুল গাঁধী বিজেপির বন্ধুদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে নির্মলা মঙ্গলবার রাতে ১৩টি টুইট করে পাল্টা আক্রমণে যান। নীরব-মেহুল-মাল্যদের সম্পত্তি নিলাম করে কী ভাবে বকেয়া আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, এই তিন জনের মোট ১৮,৩৩২ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। এর অধিকাংশ ঋণ ইউপিএ আমলে বিলি হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি।

আরও পড়ুন: ঘরে ফেরায় কেন্দ্রের সায়, দায় রাজ্যের

আজ চিদম্বরম বলেছেন, “আমি সংসদেই বলেছিলাম, তিনটি ভাগ হোক। ইউপিএ-র আগে কত ঋণ দেওয়া হয়েছে, ইউপিএ-র ১০ বছরে কত, আর তার পরে কত। কোন ঋণ কতখানি শোধ হয়নি, তারও হিসেব প্রকাশ করুন অর্থমন্ত্রী। উনি কী বলছেন? ২০১৪-র পরে কোনও ঋণ বিলি হয়নি, না তার সব শোধ হয়ে গিয়েছে? আমরা স্টুপিড হতে পারি। এত স্টুপিড নই।”

মঙ্গলবার রাতে নির্মলা টুইট করে মুখ খোলা নিয়ে কটাক্ষ করে চিদম্বরম বলেন, “৩৭ দিন ধরে উনি আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে নীরব। হঠাৎ উনি জেগে উঠলেন। এটা আশ্চর্যজনক নয়?”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement