ছবি: পিটিআই।
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ২২ অগস্ট। এই আট দিনে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৫৫ ঘণ্টায় অন্তত ৪০০টি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। কোনও বিরতি নেননি। তাঁর আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণন আজ দিল্লির বিশেষ আদালতকে এই তথ্য জানিয়েছেন। আদলত চিদম্বরমকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
চার দিন সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষে চিদম্বরমকে আজ ফের আদালতে হাজির করা হলে সিবিআই তাঁকে আরও পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জেরা করার আর্জি জানায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটির প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে এম নটরাজ যুক্তি দেন, ধৃতের অসহযোগিতার মনোভাবের কারণেই জেরা সম্পূর্ণ করা যায়নি। বিপুল নথি নিয়ে তাঁকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। বিশেষ বিচারক অজয়কুমার কুহার এতে বলেন, ‘‘নথি যে বিপুল সেটা যখন আপনারা জানেনই, তবে গোড়া থেকেই পাঁচ দিন পাঁচ দিন করে হেফাজত চাইছেন কেন?’’ বিচারক কুহর শেষ পর্যন্ত, তাঁকে আরও তিন দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
চিদম্বরমের আইনজীবী এ দিনের শুনানিতে তদন্তের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আদালতকে জানান, তিনটে ফাইল ২০ বার দেখানো হয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। এক বারও না থেমে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় ধরে জেরা চললেও, টাকার লেনদেন বা শেল কোম্পানি (বেআইনি লেনদেন আড়াল করার সংস্থা) নিয়ে একটি প্রশ্নও করা হয়নি। সিবিআই এতে আপত্তি জানিয়ে বলে, লেনদেন দেখাটা তাদের বিষয় নয়। হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে চিদম্বরমের আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজত বাড়ালে তাঁদের আপত্তি নেই। বিচারক সেই আর্জিই মেনে নেন শেষ পর্যন্ত।
সিবিআই এবং ইডির দায়ের করা মামলায় যেন তাঁকে গ্রেফতার করা না-হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিদম্বরম। চেয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি। কিন্তু তা না-হওয়ায় গত ২২ তারিখ থেকে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তবে ইডির মামলায় ৫ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে
না বলে গত কালই জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।