ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা লোকজনের খোঁজ চলছে। ছবি: রয়টার্স।
আধঘণ্টার মধ্যে পর পর তিনটি জোরালো ভূমিকম্প। আর তাতেই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে আফগানিস্থানের ১২টি গ্রাম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে বহু মানুষ।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে প্রথম কম্পন হয় পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাটে। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। তার পর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় তার ঠিক ৮ মিনিট পর অর্থাৎ ১২টা ১৯ মিনিটে। এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৬। তৃতীয় কম্পনটি ছিল আরও জোরালো। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে আবারও কাঁপে আফগানিস্তান। এই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের উৎসস্থল ছিল হেরাট থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
ভূমিকম্পের পর পরই পাজহোক আফগান নিউজ়-কে হেরাট প্রশাসন জানিয়েছিল, ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে আফগান সরকারের এক মুখপাত্র বিলাল করিমি জানিয়েছেন, ২০০০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই কম্পনে।আরও কয়েকশো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, হেরাট প্রশাসন জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জ়িন্দা জান এবং ঘোরিয়াঁ জেলায়। এই দুই জেলার মোট ১২টি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে আরও কত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক।
আফগান সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফারাহ এবং বাদঘিস প্রদেশেও ভূমিকম্পের ভাল প্রভাব পড়েছে। সেখানে এই কম্পনের জেরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কত প্রাণহানি এবং আহতের সংখ্যাই বা কত, তা জানা সম্ভব হয়নি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সর্বশেষ কম্পনটি হয়েছে হেরাটের জ়িন্দা জান জেলায়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে। গত ৪ সেপ্টেম্বর মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল আফাগনিস্তানের ফৈজাবাদে। সেই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪। তার আগে ২৮ অগস্টেও ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে জোরালো ভূমিকম্পে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন দেড় হাজারেরও বেশি।