Bhima Koregaon case

সঙ্গিনী মুসলিম, মুম্বইয়ে ভাড়ায় বাড়ি পাচ্ছেন না ভীমা কোরেগাঁও মামলার গৌতম নওলাখা!

ধর্মপরিচয়ে মুসলমান। সেই কারণে মুম্বইয়ের মতো শহরে বাড়ি ভাড়া মিলছে না। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে এমনটাই জানিয়েছেন ভীমা কোরেগাঁও মামলায় একদা গ্রেফতার হওয়া গৌতম নওলাখার সঙ্গিনী সাহবা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) সঙ্গিনী সাহবা হুসেনের সঙ্গে গৌতম নওলাখা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আদালত জামিন দিয়েছে। কিন্তু মুম্বইয়ে ভাড়াবাড়ির সন্ধান পাচ্ছেন না ভীমা কোরেগাঁও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, সাংবাদিক তথা সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা। আদতে দিল্লির বাসিন্দা হলেও জামিনের শর্ত হিসাবে তাঁকে মুম্বইতেই থাকতে হবে। কিন্তু দেশের বাণিজ্যনগরীতে একটি ভাড়াবাড়ি খুঁজতে হয়রান হতে হচ্ছে গৌতম এবং তাঁর সঙ্গিনী সাহবা হুসেনকে। কারণ, সাহবা ধর্মপরিচয়ে মুসলমান। সেই কারণেই ভাড়াবাড়ির সন্ধান মিলছে না বলে দাবি তাঁদের।

Advertisement

গৌতমের দিল্লিতে একটি বাড়ি রয়েছে। কিন্তু আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, তাঁকে মুম্বইয়ে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই, নভি মুম্বই কিংবা আন্ধেরিতে ভাড়াবাড়ির খোঁজ করছেন গৌতম। এই প্রসঙ্গে গৌতমের সঙ্গিনী ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে বলেছেন, “যাঁদেরকেই বাড়ি ভাড়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁরাই আমার নাম এবং পদবি শুনে রাজি হচ্ছেন না। এক জন বললেন, আমি যেন ধর্ম পরিবর্তন করে নিই। আমি তাঁকে বললাম, আমার সঙ্গে গৌতমের সম্পর্কের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করব না।”

২০১৮-র ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত ও উচ্চবর্ণের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু হয়। দলিতদের উপর হামলার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন গৌতম। জামিন মিললেও অনেকে এই মামলার কারণেও বাড়ি ভাড়া দিতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন সাহবা। হতাশার সুরে তিনি বলেন, “গৌতম জামিন পাওয়ার পর ভেবেছিলাম আগামী দিনগুলো আনন্দের হবে।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ভাবতে পারি না, ভারতে ধর্মীয় বিভাজন এত গভীর ভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

ভীমা কোরেগাঁও মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ পেরেরা, রোনা উইলসন, আনন্দ তেলতুম্বডে, ভারভারা রাও, হানি বাবু, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং প্রমুখ। পুণে পুলিশের দাবি ছিল, ওই সমাবেশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল সিপিআই (মাওবাদী)-এর।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হোক, ২০২২ সালে জেল থেকে মুক্তি পেতে আদালতে এই আবেদন করেছিলেন গৌতম। আদালত তা মঞ্জুর করে। সেই নির্দেশকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) চ্যালেঞ্জ জানায় সুপ্রিম কোর্টে। এনআইএর দাবি ছিল, চিকিৎসা নিয়ে জেনেশুনে আদালতকে ভুল পথে চালনা করেন ৭০ বছরের গৌতম। কিন্তু শীর্ষ আদালত এনআইএর আবেদন খারিজ করে দিয়ে গৌতমকে গৃহবন্দি রাখার পক্ষেই রায় দেয়। গত মে মাসে তাঁকে গৃহবন্দিত্ব থেকেও মুক্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement