-ফাইল ছবি।
সার্স-কভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ উত্তাল হয়ে ওঠায় কি এ বার দেশজুড়ে ফের লকডাউন ঘোষণার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার? দিল্লির সরকারি মহলের খবর, সেই সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্টই।
বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিতই মিলল নীতি আয়োগের সদস্য জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পলের কথায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।’’
কিছু দিন আগেই আমেরিকার বিশিষ্ট এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফওসি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের এখন যা কোভিড পরিস্থিতি তাতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এখনই সেখানে দেশজুড়ে লকডাউন চালু হওয়া উচিত। অবিলম্বে।’’
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র যে আক্ষরিক অর্থেই ভাবতে শুরু করেছে তার ইঙ্গিত যেমন মিলল নীতি আয়োগের অন্যতম সদস্য ভি কে পলের কথায়, তেমনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তারাও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাঁরাও বলছেন, ‘‘হলে অবাক হব না।’’
নীতি আয়োগের সদস্য বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সংক্রমণে রাশ টানার সরকারি পদক্ষেপ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বুঝে এলাকায় এলাকায় নৈশ কার্ফু জারি, কিছু কিছু এলাকায় কড়া বিধিনিষেধ আরোপ ও জেলাগুলির সঙ্গে শহর ও মফস্সলের নিয়মিত যোগাযোগের উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
ভি কে পলের কথায়, ‘‘এটা করতে হয়েছে কারণ পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ হওয়ার হার ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। আর দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির আইসিইউ শয্যার ৬০ শতাংশই ভরে গিয়েছে।’’
নীতি আয়োগের সদস্য এর পরেই বলেছেন, ‘‘তবে যদি আরও বেশি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় তা হলে কী কী করণীয় সেগুলি নিয়েও কথাবার্তা চলছে। যখন যেমন প্রয়োজন হবে তখন তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তার মতে, ‘‘নীতি আয়োগের অন্যতম সদস্য আদতে দেশজুড়ে লকডাউনের কথাই বলতে চেয়েছেন। যদিও সরাসরি নামোল্লেখ করেননি।’’