ফাইল চিত্র।
ইডি-র প্রায় যাবতীয় ক্ষমতায় সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু অর্থ বিলের মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন করে ইডি-র হাতে এই সমস্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত ছিল কি না, তার ফয়সালা করেনি। ভবিষ্যতে যদি সুপ্রিম কোর্ট অর্থ বিলের মাধ্যমে আইন সংশোধন ভুল ছিল বলে রায় দেয়, তা হলে ইডি-র ক্ষমতার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে এ বার এককাট্টা হয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন বিরোধীরা।
বুধবার অন্তত ১৫টি বিরোধী দল এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করতে চলেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অর্থ বিলের মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন ভুল বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, তা হলে ইডি-র অধিকাংশ ক্ষমতাও নাকচ হয়ে যাবে। কারণ, ওই আইনে সংশোধনের মাধ্যমেই ইডি-কে যথেচ্ছ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইডি-র ক্ষমতায় সিলমোহরের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ও নিস্ফলা হয়ে যাবে।
একের পর এক বিরোধী দলের নেতার গ্রেফতারি, তল্লাশি, মামলা, তদন্তে সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগের মতো বিষয়গুলি অন্তত এ বিষয়ে বিরোধীদের এককাট্টা করে দিয়েছে। বুধবার ইডি-র যথেচ্ছ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করারও পরিকল্পনা করছেন বিরোধীরা। শীর্ষ আদালত গত সপ্তাহে তল্লাশি থেকে গ্রেফতারি, আটক থেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের বয়ানকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার মতো বিভিন্ন ইডি-ক্ষমতায় সিলমোহর দিয়েছিল। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমালোচনা না করে, বিরোধীরা এই রায়ের সূদূরপ্রসারী ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সর্বোচ্চ আদালতের কাছ থেকে নিরপক্ষ রায়ের আশা করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের রায়ে কার্যত সরকারের বক্তব্যই প্রতিফলিত হয়েছে।