ফাইল চিত্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুপস্থিতি নিয়ে দিনভর চলল রাজনৈতিক বিতর্ক। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়াল থাকলেও ছিলেন না মোদী। সকালেই এ নিয়ে টুইট করে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ লেখেন, “সংসদের আসন্ন অধিবেশন নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যথারীতি অনুপস্থিত। এটা কি অসংসদীয় নয়?” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভার সচিবালয় ‘অসংসদীয়’ শব্দের তালিকা প্রকাশ করেছে, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বৈঠকের মধ্যেও একই প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এই নিয়ে প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। পরে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মল্লিকার্জুন খড়্গে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে। রাজনাথ সিংহ জবাবে জানান, কোনও কাজে খুবই ব্যস্ত থাকায় তিনি আসতে পারলেন না। খড়্গের
সঙ্গে আমি সহমত। প্রধানমন্ত্রীর আসা উচিত ছিল, তা হলে সব দলের নেতাদের বৈঠক আরও সফল ও সুন্দর হতে পারত।”
পীযূষ গয়াল পাল্টা তোপ দেগে বলেছেন, “২০১৪-র আগে এই বৈঠকেতো শুধু সংসদীয় মন্ত্রী আর মুখ্য সচেতক আসতেন। এখন আমাদের সরকারে রাজনাথ সিংহের মতো মন্ত্রীপ্রত্যেকটি বৈঠকে আসেন ও থাকেন। প্রধানমন্ত্রীও সৌজন্য দেখিয়ে আসেন। এ বার কাজ পড়ে গিয়েছে বলে আসতেপারেননি।” তাঁর বক্তব্য, “বিরোধীদের হাতে প্রতিবাদ করার কোনও বিষয় নেই, তাই এই সব বলছেন।”
সংসদ চত্বরে ধর্না বন্ধ করার নিষেধাজ্ঞা তাঁরা অমান্য করবেন বলে আজই জানান সুদীপ। তাঁর কথায়, “অধিবেশন শুরু হলেই আমরা সংসদ চত্বরে ধর্নায় বসব।” ২৬ তারিখ মেঘালয়ে এনপিপি-বিজেপি জোট সরকারের অপশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তাঁরা আবার সংসদ চত্বরে ধর্নায় বসবেন, জানান সুদীপ।