বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বিজয় চকে মিছিল করবে বিরোধী দলগুলি। ছবি: পিটিআই।
সংসদে বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে সংসদ থেকে বিজয় চকে মিছিল করবে বিরোধী দলগুলি। সেখানে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার পরিকল্পনাও রয়েছে কংগ্রেস-সহ ১৫-১৬টি বিরোধী দলের। যদি মাঝরাস্তায় আটকে দেওয়া হয়, তা হলে কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজের ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের। টুইট করেছেন মমতা। আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় অফিসের বিরোধী বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ জহর সরকার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগামিকাল কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী সাংসদদের এই মিছিলে তৃণমূল যোগ দেবে কি না এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঘটনার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী, তাঁদের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সংসদের দুই কক্ষে বিরোধিতার ক্ষেত্রেও সমন্বয় করে চলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস কালো পোশাক পরে বিরোধিতা করেছে, তৃণমূল সাংসদদের দেখা গিয়েছে কালো মুখোশ পরতে।
বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে আক্রমণ করার অভিযোগ এবং আদানি কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাতেই এই মিছিল। সূত্রের খবর, ১৫টি বিরোধী দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছেন তাঁর সময় চেয়ে। রাষ্ট্রপতি ভবনের কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী অবশ্য সাত জনের বেশি প্রতিনিধির রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার নিয়ম নেই। সে ক্ষেত্রে ১৫টি দলের একজন করে প্রতিনিধি কী ভাবে একত্রে যাবেন তা নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।