Lakshadweep Tourism

মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর লক্ষদ্বীপ ঘিরে বেড়েছিল আগ্রহ, কিন্তু পর্যটক বাড়ল কি?

প্রধানমন্ত্রীর লক্ষদ্বীপ সফরের পর মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতীয় দ্বীপটির প্রতিতুলনা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেই বিতর্কের পর পর্যটকসংখ্যার নিরিখে লক্ষদ্বীপ সে ভাবে ‘জনপ্রিয়’ হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

লক্ষদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারত সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল মলদ্বীপের দুই মন্ত্রী এবং কিছু শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তার পরই ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় নেটাগরিকদের একাংশ। মলদ্বীপের বিকল্প হিসাবে উঠে এসেছিল ভারতের লক্ষদ্বীপ। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষদ্বীপ সফরের পর মলদ্বীপের সঙ্গে এই প্রতিতুলনা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেই বিতর্কের পর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও পর্যটকসংখ্যার নিরিখে লক্ষদ্বীপ সে ভাবে ‘জনপ্রিয়’ হয়নি। ভারতীয় বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-এর একটি পরিসংখ্যানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

ডিজিসিএ-র পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারি মাসে কেরলের কোচি থেকে লক্ষদ্বীপ গিয়েছেন ২,৩১২ জন যাত্রী। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত-মলদ্বীপ বিতর্কের আগে এই সংখ্যাটি ছিল ২,২৫৩। অর্থাৎ, যাত্রীদের সংখ্যা বাড়লেও, তাকে মোটেও আহা মরি বলা যায় না। প্রসঙ্গত, কেরলের কোচি ছাড়া ভারতের অন্য কোনও শহর থেকে লক্ষদ্বীপের সরাসরি উড়ান নেই। লক্ষদ্বীপের অগাত্তি বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা করে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি মাসে আসা-যাওয়ার নিরিখে মোট ৪,৪৯১ জন অগাত্তি বিমানবন্দরে পা রেখেছেন।

পর্যটক সংখ্যা না বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিমান না-থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। সারা দিনে বেসরকারি সংস্থার একটি বিমানই কোচি এবং লক্ষদ্বীপের মধ্যে যাতায়াত করে। তা-ও দিনে এক বার। পরের মাসে বিমানটির ক’টি আসন ফাঁকা থাকবে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তবে বেশ কিছু বিমান সংস্থা সম্প্রতি লক্ষদ্বীপে বিমান চলাচল শুরুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অবশ্য অনেকেই মনে করছেন, প্রাকৃতিক কারণেই লক্ষদ্বীপের সব জায়গায় পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। তা ছাড়া হোটেল, রিসর্টও তুলনায় কম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement