সম্প্রতি মুম্বইয়ে এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এ বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে। প্রতীকী চিত্র
বুস্টার টিকা নেওয়ার জন্য কোনও ফোন পেয়েছেন? তা হলে এখনই সাবধান হোন। কেন না, টিকা পাইয়ে দেওয়ার নামে বড়সড় প্রতারণার জাল বিছিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। এক ফোন কলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে তারা।
ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখে সম্প্রতি সরকার ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার টিকার কথা ঘোষণা করেছে। তার পর থেকেই বেশ সক্রিয় হয়েছে একটি প্রতারণা চক্র। বিনামূল্যে বুস্টার টিকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তারা বেছে বেছে বয়স্কদের শিকার বানাচ্ছে।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এ বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে। দেশের শীর্ষ স্তরের এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টিকাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একটা নতুন ধরনের প্রতারণা প্রকাশ্যে এসেছে। অপরাধীরা বয়স্কদের শিকার হিসেবে বেছে নিচ্ছে। জানা গিয়েছে, অপরাধীরা প্রথমে শিকার বেছে নিয়ে তাঁদের ফোন করছে। ফোন করেই নিজেদের সরকারি কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দু’টি টিকার তারিখ, কোথা থেকে সেই টিকা নিয়েছেন ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য চটপট করে বলে দিচ্ছে। আর সত্যিই সত্যিই সেই তথ্যগুলি মিলে যাচ্ছে দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টিকে সত্যি ধরে নিচ্ছেন। তাঁকে এমন ভাবে বোঝানো হচ্ছে যে, সত্যিই সরকারের তরফে ফোন করে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।
এর পরই অপরাধীরা তাদের শিকারকে বিনামূল্যে বুস্টার টিকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছে। আর সেই ফাঁদে পা দিতেই ওই ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য। নাম নথিভুক্ত করলেই জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে টিকা পেয়ে যাবেন, এমনটাই বলা হচ্ছে। কী ভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে তা-ও বলে দেওয়া হচ্ছে ফোনেই। ওই ব্যক্তিকে জানানো হচ্ছে, তাঁর ফোনে একটি ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি ফোনে বলতে হবে।
এর ঠিক পাঁচ মিনিট পর আবার একটি ফোন আসছে ওই ব্যক্তির কাছে। সেই ওটিপি ফোনের ও পারে থাকা ব্যক্তিকে বলতে বলা হচ্ছে। ওটিপি বলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এ ভাবেই ফাঁদে ফেলে শিকার করছে সাইবার অপরাধীরা।
টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার হলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট দফতর বা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করাই উচিত বলে জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ, পুলিশ এবং প্রশাসন।