জলের তলায় কন্যাকুমারী। ছবি: পিটিআই।
এক দিনে সারা বছরের বৃষ্টি হল তামিলনাড়ুর দক্ষিণের জেলাগুলিতে। ফলে একের পর এক শহর এবং গ্রামগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে। কোথাও গলাসমান, কোথাও বুকসমান জলে হাবুডুবু খাচ্ছে গ্রামগুলি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেনা, বায়ুসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধারকারী আরও হেলিকপ্টার মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকাগুলির জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। বহু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণের এই জেলাগুলিতে এক বছরের বৃষ্টি এক দিনে হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওই জেলাগুলিতে। তিনি জানান, তিরুনেলভেলি এবং থোত্তুকুড়িতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শুধু কায়ালপত্তিনমেই সোমবার বৃষ্টি হয়েছে ৯৪০ মিলিমিটার। শ্রীলঙ্কার কাছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বরে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। যার জেরে তিরুনেলভেলি এবং থোত্তুকুড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনী ছ’টি উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে। সঙ্গে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি এবং উদ্ধারের কাজও চালাচ্ছে। সেনাও সমানতালে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তুতিকোরিন বিমানবন্দর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্রাম এবং শহরগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। মোবাইল পরিষেবাও স্তব্ধ কোথাও কোথাও।