প্রতীকী ছবি।
করোনা-কার্ফু না মেনে বাড়ির বাইরে যাওয়ায় উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে ১৭ বছরের এক কিশোরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করা হলেও পরে বরখাস্ত করা হয়েছে এক হোমগার্ডকে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। উন্নাওয়ের বাঙ্গরমাউ শহরের ভাটপুরী এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা-কার্ফু চলাকালীন দুপুর ৩টে নাগাদ নিজের বাড়ির বাইরে আনাজ বেচছিল মহম্মদ ফয়জ়ল নামে ওই কিশোর। সেই সময়ে পুলিশ এসে প্রথমে তাকে লাঠি দিয়ে মারে। এর পরে তুলে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায়।
অভিযোগ, থানায় ভয়াবহ মারধর করায় ওই কিশোরের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। ওই কিশোরকে তখন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এর পরেই অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিশের পদস্থ কর্তারা গিয়ে মৃতের পরিবারকে সব রকম সাহায্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর কপি দেখানোর পরে শান্ত হয় জনতা। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি ওঠে। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরেই কিশোরের দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেয় পরিবার। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতি দিয়ে পুলিশ বলেছে, ‘‘দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং এক হোমগার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’