প্রতীকী ছবি।
উত্তেজক ভিডিয়োতে তরুণীদের ছবি বিকৃত করার পর সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন এক যুবক। ৫৫০ জনেরও বেশি মহিলাকে এমন ভিডিয়ো পাঠানোর অভিযোগে মুম্বইয়ের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারিতে এক কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই তরুণীর অভিযোগ, এক যুবক তাঁকে ও তাঁর ফোনে যে সব মহিলার নম্বর রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে আপত্তিকর ভিডিয়ো পাঠাতেন। ৫৫০ জনের বেশি মহিলাকে উত্তেজক ভিডিয়ো পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন। তাদের মধ্যে কয়েক জন নাবালিকাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ওই যুবক হোয়াটসঅ্যাপে নিজেকে কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে আলাপ করেছিলেন। যুবক জানিয়েছিলেন যে, তিনি পড়ুয়াদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে সমস্ত নোট পাঠাবেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কলেজের অধ্যাপক হিসাবে পরিচয় দেওয়ায় সন্দেহ করিনি...হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য যে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল, তাতে ক্লিক করি। ওটিপি শেয়ার করি। কিন্তু তার পরই দেখি আমায় ওই যুবক আপত্তিকর ভিডিয়ো পাঠাচ্ছেন।’’
১০টি ফোন ও ১২টি সিমকার্ড ব্যবহার করে এই কাণ্ড করতেন যুবক। আন্ধেরির এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘কারচুপি করে বহু মহিলার হোয়াটসঅ্যাপ ‘অ্যাকসেস’ করে তাঁদের ফোনে থাকা মহিলাদের নম্বর সংগ্রহ করতেন। তার পর তাঁদের সকলকে উত্তেজক ভিডিয়ো পাঠিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিতেন।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম রবি ডান্ডু। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রযুক্তি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী তিনি। ধৃতের কাছ থেকে ১০টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।