(বাঁ দিকে) বাবা সিদ্দিকি খুনে ধৃত দুই অভিযুক্ত। বাবা সিদ্দিকি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত
অন্য একটি খুনের মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকির খুনে ধৃত এক অভিযুক্ত। ধৃত সেই অভিযুক্তের নাম গুরমেল বলজিৎ সিংহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তেইশের গুরমেল হরিয়ানার কৈথলের বাসিন্দা। একটি খুনের মামলায় জেল খাটছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। অন্য দিকে, আর এক অভিযুক্ত ধর্মরাজ উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের বাসিন্দা। গুরমেলের ঠাকুরমা ফুলি দেবী এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হন তাঁর নাতি। তিন মাস আগে জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু গুরমেলের সঙ্গে পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন ফুলি দেবী।
তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে কয়েক মিনিটের জন্য এক বার এসেছিল গুরমেল। আমি তখন কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি গুরমেল চলে গিয়েছে। তার পর থেকে আমাদের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেনি। আমরাও কোনও সম্পর্ক রাখিনি ওর সঙ্গে।’’ পরিবারের একমাত্র সন্তান গুরমেল। ফুল দেবী জানান, বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকতেন গুরমেল। ছোটবেলা থেকেই বদমেজাজি ছিলেন। তাই ১১ বছর আগেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল গুরমেলকে।
এই খুনের মামলায় ধৃত আর এক অভিযুক্ত হলেন ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ। ধর্মরাজের পরিবারও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক এবং যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে। দীর্ঘ দিন ধর্মরাজের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। কোথায় থাকেন, কী করেন, কেউ জানেন না বলেই দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পুণের একটি ছাঁট কারখানায় কাজ করতেন ধর্মরাজ। তাঁর মা বলেন, ‘‘বাড়িতে বলে গিয়েছিল পুণেতে কাজ করতে যাচ্ছে। জানতাম না মুম্বইয়ে ও কী করত। এক বারই হোলিতে এসেছিল বাড়িতে। তার পর আর যোগাযোগ রাখেনি। ফোনও করত না।’’
আরও এক অভিযুক্ত শিবকুমারও পুণেতেই কাজ করতেন। সিদ্দিকি খুনের ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের কার্যালয়ের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। সেই ঘটনায় গুরমেল এবং ধর্মরাজ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।