(বাঁ দিক থেকে) মুম্বইয়ের গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি এবং বলিউড অভিনেতা সলমন খান। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গোষ্ঠী যুক্ত, জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এ বার সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল বিষ্ণোই গ্যাং। রবিবার ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেনে নেওয়া হয়েছে, সিদ্দিকি খুনে তারা জড়িত। (এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই সদস্যের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর সলমনের বাড়ির নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘সলমন খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার জন্য আমাদের ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিকি এক সময় দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন ভদ্র সেজেছিলেন। দাউদ এবং অনুজ থাপানের সঙ্গে ওঁর সম্পর্কই ওঁর মৃত্যুর কারণ। কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু সলমন খান বা দাউদের গ্যাংকে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁরা সাবধান! আমাদের কোনও ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিলে, আমরা শাস্তি দেব। আমরা প্রথমে মারি না। প্রতিশোধ নিই।’’
৬৬ বছরের বর্ষীয়ান নেতাকে শনিবার দশেরার অনুষ্ঠান চলাকালীন গুলি করে খুন করা হয়। তিন জন দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। হরিয়ানার গুরমেল সিংহ এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপের সঙ্গে তৃতীয় জনকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁর নাম শিব কুমার। তিনিও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিন জন ছাড়াও আরও এক জন এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। যিনি নেপথ্যে থেকে পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁকেও খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে সিদ্দিকিকে খুন করার অনুশীলন করছিলেন ওই তিন জন। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তাঁরা। আগেই তাঁদের ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই কাজের জন্য। বাকি অর্থ পরে দেওয়ার চুক্তি ছিল। তিন জনই মূলত ভাড়াটে খুনি, জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেল খাটছেন। কিন্তু তাঁর গ্যাং সক্রিয় বাণিজ্যনগরীতে। কিছু দিন আগে সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। সলমনের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয় কিছু দিন আগে। সলমনের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক দিনের। সিদ্দিকি খুনের সঙ্গে সেই বিবাদের সম্পর্ক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।