kerala

Kerala: দু’মাস আগেও হাতে ছিল চক-ডাস্টার, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এখন স্কুলের ঝাড়ুদার

গত ৩১ মার্চ থেকে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে পেশাও। তিনি এখন আর শিক্ষক নন। গত দু’মাস ধরে তাঁর হাতে আর চক-ডাস্টার দেখা যায় না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ১৭:৩৪
Share:

এখন উষা যে কাজ করেন (বাঁ দিকে)। আগে শিক্ষকতা করতেন তিনি।

মাস দুয়েক আগেও যাঁর হাতে ছিল চক-ডাস্টার, সেই শিক্ষিকাকেই এ বার দেখা গেল অন্য ভূমিকায়। শিক্ষকতার কাজ হারিয়ে এখন তিনি অন্য একটি স্কুলের ঝাড়ুদার!

উষা কুমারী। বয়স ৫৪। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা উষা গত ২৩ বছর ধরে উপজাতি এলাকায় মাল্টি গ্রেড লার্নিং সেন্টার (এমজিএলসি)-এ শিক্ষকতার কাজ করেছেন। কিন্তু গত ৩১ মার্চ থেকে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে পেশাও। তিনি এখন আর শিক্ষক নন। গত দু’মাস ধরে তাঁর হাতে আর চক-ডাস্টার দেখা যায় না। বদলে তাঁর হাতে এখন ওঠে ঝাড়ু!

Advertisement

৩১ মার্চ শিক্ষকতার ওই কাজ হারান উষা। তাঁর মতো আরও ৩৪৪ জন শিক্ষকও কাজ হারিয়েছেন। তাঁরা সকলেও ছিলেন এমজিএলসি-র শিক্ষক। কিন্তু ৩১ মার্চ তাঁদের সকলের জীবনে সব কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। কেন না, সরকার ওই সেন্টারগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫০ জন গত বুধবার থেকেই ঝাড়ু হাতে তুলে নিয়েছেন। শিক্ষক থেকে ঝাড়ুদার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উষাও এক জন।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে উষা বলেন, “হয়তো এটাই আমার ভাগ্য! দু’মাস আগেও কুন্নাথুমালায় উপজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিতাম। কিন্তু আজ আমার হাতে সেই চক, ডাস্টারের বদলে উঠে এসেছে ঝাড়ু।” উষা তাঁর শিক্ষকতার জন্য পেয়েছেন এক ডজনেরও বেশি রাজ্য পুরস্কার। শুধু তাই-ই নয় জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

স্কুলপড়ুয়াদের সঙ্গে উষা কুমারী।

উষা বলেন, “আমার সন্তানেরা ঝাড়ুদারের কাজ নিতে বারণ করেছিল। কিন্তু আমি কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। নিজে কিছু করতে চাই।” তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, পেনশনের পুরো টাকাটা যেন পাই। আমাদের পদটাও যেন পরিবর্তন করা হয়।” এর পরেই তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, “২৩ বছর শিক্ষকতার পেশায় ছিলাম। এখন আমি আগামী ছ’বছরের জন্য ঝাড়ুদার হয়ে রইলাম।”

শুধু উষাই নন, তাঁর মতো আরও ১৪ জনকে তিরুঅনন্তপুরমের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে ঝাড়ুদারের কাজ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই এমজিএলসি-র বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement