Rajasthan

পদ্মাবতীর রাজ্যে নিলামে উঠছে মেয়েরা! তদন্তে রাজস্থানে গেল জাতীয় মহিলা কমিশন

রাজস্থানের রাজ্য কমিশনও এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করছে। সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে ওই রিপোর্ট। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও রাজস্থান সরকারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০০
Share:

সরকারের প্রতিনিধিদের থেকে জবাব চেয়েছে কমিশন। প্রতীকী ছবি।

কাঞ্চনে না কুলোলে কামিনী— এই নীতিতেই দেওয়া হয় ঋণ। শোধ করতে না পারলে বাকি টাকা পেতে নিলামে তোলা হয় বাড়ির মেয়েদের। যিনি কিনলেন, তিনি সরকারি স্ট্যাম্প পেপারে দলিল-সহ পান ‘ক্রীতদাসী’র মালিকানা। এ ভাবেই দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় রাজস্থানে নারী কেনা-বেচা চলছিল বলে অভিযোগ করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এ বার ঘটনার তদন্ত করতে কমিশনের একটি দলও গেল রাজস্থানে।

Advertisement

শুক্রবার কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানিয়েছেন, ওই দল ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় সরকারের ভূমিকা কী হতে চলেছে, বা এত দিন তারা কোনও পদক্ষেপ কেন করেনি, তা জানতে রেখা নিজে দেখা করবেন রাজস্থানের মুখ্যসচিব এবং ভিলওয়ারা গ্রামের পুলিশ সুপারের সঙ্গে। মহিলাদের নিলামে তোলার সাম্প্রতিক ঘটনাটির খবর এসেছে এই ভিলওয়ারা গ্রাম থেকেই।

গত ২৬ অক্টোবর প্রকাশিত একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে দুই নাবালিকাকে ঋণ শোধের জন্য নিলামে তোলা হয়। তাদের মায়েরা এই ঘটনায় আপত্তি জানালে খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে তাঁদেরও ধর্ষণ করানো হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন।

Advertisement

রাজস্থানের রাজ্য কমিশনও এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করছে। সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে ওই রিপোর্ট। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও রাজস্থান সরকারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যদিও রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ খাচারিয়াবাস পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটির কোনও প্রমাণ নেই। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। যদি এ ধরনের ঘটনা সত্যিই ঘটেছে বলে জানা যায়, তখন দেখা যাবে।’’

জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা অবশ্য জানিয়েছেন, রাজস্থানে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা গত কয়েক বছর ধরেই শুনছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসনকে এ যাবৎ কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। রেখা বলেন, ‘‘বিভিন্ন গ্রাম এবং বসতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে খবর আসছিল। এমনও শুনছিলাম স্ট্যাম্প পেপারে দলিল সই করে নিলামে ওঠা মেয়েদের কিনছেন ক্রেতারা। তার পর তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌন পেশায় কাজে লাগানো হচ্ছে।’’ ভিলওয়ারার ঘটনার পর তাই বিষয়টি জানতে দুই সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে কমিশন। একই সঙ্গে রাজস্থান পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকেও চিঠি লিখে কমিশন জানিয়েছে, এই ঘটনা বিষয়ে যেন অবিলম্বে পদক্ষেপ করে পুলিশ এবং দোষীদের যথা শীঘ্র সম্ভব গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement