National News

ওমর কেন বন্দি, সুপ্রিম কোর্টে বোন

জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও পিএসএ-তে বন্দি রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর মেয়ে ইলতিজ়া মুফতি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন তাঁর বোন সারা আবদুল্লা। তাঁর অভিযোগ, ওমরের বাক্‌স্বাধীনতা ও অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও পিএসএ-তে বন্দি রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর মেয়ে ইলতিজ়া মুফতি। মেহবুবাকে আটক করার পিছনে সরকারের অভিযোগের যে নথি দেওয়া হয়েছে, তাতে পিডিপি-র সবুজ পতাকায় চরমপন্থী ভাবনার ইঙ্গিত মেলার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া, মুফতি মহম্মদ সইদের প্রসঙ্গ টেনে তাঁকে ‘বাবার মেয়ে’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মেহবুবা-কন্যার মন্তব্য, ‘‘বাবা-মা’কে ভালবাসা কি অন্যায়?’’

গত সপ্তাহেই ওমর-মেহবুবার উপরে পিএসএ প্রয়োগ করা হয়। ওমরের বিরুদ্ধে অভিযোগের যে নথি, তাতে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং ভোট বয়কটের ডাকের মধ্যেও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় লোককে টেনে আনার ক্ষমতা ছিল ওমরের। এ থেকেই বোঝা যায়, যে কোনও ব্যাপারে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন তিনি। ওমর চরমপন্থী ভাবনায় বিশ্বাসী এবং তা কাজে পরিণত করার ক্ষমতা রাখেন। তবে এ সব কথার পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করানো হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল গার্গী কলেজ, যৌন হেনস্থার চারদিন পর দায়ের হল এফআইআর

সারার দাবি, বন্দি করার কারণ কী, ওমরকে তা-ও জানানো হয়নি। কোর্টে সারার অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই ওমরকে বন্দি করা হয়েছে। যা ভারতীয় সংবিধানের গণতান্ত্রিক ভিত্তির পরিপন্থী। বন্দি থাকার সময়ে মানুষের সামনে ওমর শান্তির বার্তাই দিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন সারা।

পাশাপাশি, পিডিপি-র পতাকার রং নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ইলতি‌জ়া টেনে এনেছেন বিজেপি-শরিক নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সবুজ পতাকা ও ভারতীয় সেনার পোশাকের কথা। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মেহবুবার যোগাযোগ, তাঁর দেশ বিরোধী কথাবার্তা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে সরকারের তরফে। ইলতিজ়ার পাল্টা, ২০১৪ সালে দেশবাসীর সামনে জোট শরিক মেহবুবার প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী।

এই পরিস্থিতিতে এক মাসের ব্যবধানে ফের একটি বিদেশি প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হচ্ছে উপত্যকায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির দূতেরা চলতি সপ্তাহেই যাচ্ছেন সেখানে। মাস খানেক আগেই ১৭ জনের একটি দল গিয়েছিল কাশ্মীরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement