বারাণসী থেকে দিল্লিগামী বন্দে ভারতের উদ্বোধন। ছবি: টুইটার।
বারাণসী-দিল্লি বন্দে ভারতের রং হবে গেরুয়া। তার নেপথ্যে কোনও রাজনীতি নেই। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা নিজেই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
উত্তর রেলের ব্রোশিয়োরে যে ছবি ছাপা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল বারাণসী-দিল্লি দ্বিতীয় বন্দে ভারতের রং গেরুয়া এবং ধূসর। যদিও সোমবার যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন, তখন দেখা যায় ট্রেনের রং নীল-সাদা। তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী কালে এই ট্রেনের রং গেরুয়াই হবে। উত্তর রেলের এক আধিকারিক পিটিআইকে বলেন, ‘‘নীল-সাদা রঙের বন্দে ভারতকে ভবিষ্যতে গেরুয়া-ধূসর করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারখানায় সেই কোচ তৈরি করা হচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে ব্রোসিয়োরেও বন্দে ভারতের রং গেরুয়া-ধূসর করা হয়েছে।’’
বারাণসী-দিল্লির মধ্যে যাতায়াতকারী দ্বিতীয় বন্দে ভারতে কী কী সুবিধা রয়েছে, তা-ও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রেল। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ট্রেনে রয়েছে ওয়াইফাই, জিপিএসের মাধ্যমে যাত্রীরা তথ্য পাবেন, বায়ো-ভ্যাকুয়ান শৌচালয়, যেখানে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। প্রত্যেক আসনের নীচে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এলইডি লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনে বায়ু চলাচলেরও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। জীবাণুমুক্ত বায়ু জোগানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুসারে বাতালুকূল যন্ত্র ঠান্ডা হবে। প্রয়োজনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিন ভোর ৬টায় বারাণসী থেকে ছাড়বে ওই বন্দে ভারত। পৌঁছবে দিল্লিতে দুপুর ২টো ০৫ মিনিটে। আবার দুপুর ৩টেয় দিল্লি থেকে ছেড়ে বারাণসী পৌঁছবে রাত ১১টা ০৫ মিনিটে।
২৪ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথম গেরুয়া-ধূসর বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হয়েছে। কাসারগোড় থেকে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে যাতায়াত করবে ট্রেনটি। ওই দিন ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে মোট ন’টি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন মোদী। কেন বন্দে ভারতের রং গেরুয়া-ধূসর, সম্প্রতি তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী। তিনি জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক কারণেই এই রং বাছাই করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দু’টি রং মানুষের চোখে সব থেকে বেশি পড়ে— হলুদ এবং কমলা। ইউরোপে ৮০ শতাংশ ট্রেনেরই রং হয় হলুদ, নয় কমলা।’’ বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রুপোলি রংও মানুষের চোখে খুব বেশি পড়ে। কিন্তু সব থেকে বেশি পড়ে হলুদ এবং কমলা। সেই ভাবনা থেকেই বন্দে ভারত ট্রেনের রং বাছাই করা হয়েছে। এর নেপথ্যে কোনও রাজনীতি নেই।