ধৃত রাম স্বরূপ ওরফে সোধি। —ফাইল চিত্র।
মেয়েলি স্বভারের জন্য প্রায়ই উপহাসের শিকার হতেন। ছোট থেকেই বন্ধুবান্ধব, চেনা-পরিচিতেরা তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন! যা মেনে নিতে পারেননি। গত ১৮ মাসে কেন ১১টি খুন করলেন, তা পুলিশি জেরার মুখে শিকার করলেন পঞ্জাবের সেই ‘সিরিয়াল কিলার’ রাম স্বরূপ ওরফে সোধি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বভাব নিয়ে নানা সময়ে কটূক্তি শুনতে হত। যা থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই একের পর এক খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সোধি।
৩৭ বছর বয়সি সোধি পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার চৌরা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রূপনগর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, গত ১৮ মাসে ১১ জন পুরুষকে তিনি খুন করেছেন। তাঁর খুনের পদ্ধতিটিও ছিল অভিনব। রাতে মেয়েদের পোশাক পরে বেছে বেছে পুরুষদের গাড়িতে লিফ্ট দিতেন সোধি। গাড়িতে ওঠার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা টাকাপয়সা কিংবা মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নেওয়া হত। সব শেষে শ্বাসরোধ করে কিংবা মাথায় ভারী ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করতেন শিকারদের।
গত ১৮ অগস্ট এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি স্থানীয় একটি টোল প্লাজ়ায় চা ও জল বিক্রি করতেন। ঘটনার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। সম্প্রতি জেলায় ঘটতে থাকা একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা দমন করতে নতুন করে তৎপর হয় পুলিশ। সোধির শেষ শিকার ছিলেন ৩৭ বছরের মনিন্দর সিংহ। অভিযোগ, ওই যুবক সোধিকে কটূক্তি করেছিলেন। তাঁর মেয়েলি স্বভাব নিয়ে হেসেছিলেন। সেই রাগেই তাঁকে খুন করেন সোধি। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় কিরতপুর সাহিব এলাকা থেকে। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি শীতের পোশাক পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই সোধিকে সোমবার আটক করেন তদন্তকারীরা। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন সোধি।