উইং কম্যান্ডার পূজা ঠাকুর।
১৬ বছর চাকরির পরেও ‘বৈষম্যমূলক আচরণে’র জন্য বিমানবাহিনীতে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়নি উইং কম্যান্ডার পূজা ঠাকুরকে। সেনা ট্রাইবুনালে এই অভিযোগ জানিয়েছেন পূজা।
গত বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘গার্ড অফ অনার’-এ পূজাই ছিলেন ফার্স্ট অফিসার। সেনা ট্রাইবুনালে উইং কম্যান্ডারের আইনজীবী বলেছেন, তাঁর মক্কেলের প্রতি বিমানবাহিনী যে আচরণ করেছে, তা ‘‘পক্ষপাতমূলক, বৈষম্যমূলক, ইচ্ছাকৃত ও অযৌক্তিক।’’ ওই আইনজীবী পরে টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘বিমানবাহিনীর বক্তব্য, ২০১২ সালে উইং কম্যান্ডার পূজা ঠাকুরকে স্থায়ী চাকরি দিতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূজা সেই সময় ওই ‘অফার’ নিতে চাননি। তার পরে অবশ্য পূজাকে নতুন করে আর ওই ‘অফার’ দেওয়া হয়নি।’’
উইং কম্যান্ডার পূজা ঠাকুরের অভিযোগটি গ্রহণ করে বিমানবাহিনীকে এক মাসের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে সেনা ট্রাইবুনাল।
গত বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন এসেছিলেন ভারত সফরে, তখন রাষ্ট্রপতি ভবনে যে বাহিনী দিয়ে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়েছিল, তার ফার্স্ট অফিসার ছিলেন পূজা ঠাকুর। পূজাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম কোনও মহিলা অফিসার, যিনি কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।
অ্যালবাম থেকে: প্রেসিডেন্ট ওবামার সেই ‘গার্ড অফ অনার’
সেনাবাহিনীর এক কর্নেলের কন্যা পূজা বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ২০০০ সালে। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে কোনও পাকা চাকরি দেওয়া হয়নি। নেওয়া হয়েছিল ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন অফিসার’ হিসেবে। পূজা ছিলেন প্রশাসনিক দায়িত্বে।
তবে প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তারা বাহিনীতে কোনও লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ মানতে চাননি। প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা উইং কম্যান্ডার প্রফুল বক্সী বলেছেন, ‘‘কারও ন্যায্য দাবিকে অস্বীকার বা কোনও পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রশ্নই ওঠে না। অফিসার হিসেবে কাকে কাকে স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ করা হবে, তা একটি বাছাই কমিটি চূড়ান্ত করে সেই অফিসারের কর্মদক্ষতা যাচাই করে। বিমানবাহিনী কোনও রোজগার যোজনা নয়! বাহিনীতে কোনও লিঙ্গবৈষম্য নেই। কারও ‘গার্ড অফ অনার’-এর দায়িত্বে ছিলেন মানে তিনি বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন, এটা মনে করাটাও ভুল। কাকে স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ করা হবে, তার অনেকগুলো মাপকাঠি রয়েছে।’’
আরও পড়ুন- মুখ পুড়ল বিজেপির, অরুণাচল কংগ্রেসের