রাস্তার পাশেই সন্তানের জন্ম দিলেন আদিবাসী মহিলা। —প্রতীকী ছবি
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক আদিবাসী মহিলা। তার পর বুধবার রাতে সদ্যোজাতকে নিয়ে আরও দু’কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে কোরাপুটে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠলেন। ওড়িশার দশমন্তপুর ব্লকের ঘটনা।
দশমন্তপুর ব্লকের তুঙ্খাল গ্রামের বাসিন্দা স্বাতী মাদুলি। বয়স ২৮ বছর। বুধবার রাতে প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয় স্বাতীর। তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় আশা কর্মীদের খবর দেন। খবর পেয়ে আশা কর্মীরা জননী এক্সপ্রেস পরিষেবা দফতরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে বলেন। দশমন্তপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।
তুঙ্খাল গ্রামে যাওয়ার পথে ধর্মগড়া গ্রামে কাদায় আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা। অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মী ফোন করে স্বাতীকে সেখানে নিয়ে আসতে বলেন। রাতের অন্ধকারে স্বাতীকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে রওনা হন তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আশা কর্মীরা। প্রসবযন্ত্রণায় তখন ছটফট করছেন তিনি। মাঝপথেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সদ্যোজাতকে নিয়ে আবার অন্ধকারে পথ চলতে শুরু করেন স্বাতীরা। মোবাইলের টর্চের আলোয় দু’কিলোমিটার পথ হেঁটে ওঠেন অ্যাম্বুল্যান্সে। তাতে চাপিয়ে দ্রুত দশমন্তপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয় স্বাতীকে। মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।
তুঙ্খাল গ্রাম থেকে দশমন্তপুর সদরের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। তার মধ্যে মাত্র ছ’কিলোমিটার রাস্তা পাকা। বাকিটা কাঁচা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ওই রাস্তায় জল-কাদা জমে রয়েছে। গাড়ি চলাচল তো দূর, কেউ হেঁটেও যাতায়াত করতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, এই দশমন্তপুর ব্লকে ১২১টি গ্রাম রয়েছে। দশমন্তপুরের বিডিও ডি মল্লিক জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৭৯টি গ্রামের মানুষ জনকে ওই কাঁচা রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। গ্রামোন্নয়ন দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।