১২৫ জন স্থানীয় উদ্ধারকারী ও ২৯টি সামাজিক সংগঠনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। —ফাইল চিত্র।
ওড়িশার বাহানাগায় রেল দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। তাঁদের সম্মান জানাল রেল। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল বাহানাগা বাজারে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বাহানাগাবাসীর উন্নতিকল্পে ২ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণাও করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ প্রতাপকুমার সরেঙ্গী।
এ দিন স্টেশন সংলগ্ন কলেজ ময়দানে ১২৫ জন স্থানীয় উদ্ধারকারী ও ২৯টি সামাজিক সংগঠনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রেলমন্ত্রী বলেন, “বাহানাগা গ্রামের মানুষ বাইরে এসে প্রশাসনের সহযোগী হয়ে সেবা করেছিলেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতেই এসেছি। বাহানাগা হাসপাতালের উন্নয়নে ১ কোটি ও বাহানাগা গ্রামের উন্নয়নে আরও ১ কোটি টাকা সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ করছি।” পরে স্থানীয়রা বাহানাগা রেলগেটে উড়ালপুলের দাবি জানালে, সেটিও গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী। বালেশ্বর হাসপাতালেও যান তিনি।
সূত্রের খবর, সোমবারই সোরোয় সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আমির খানের ভাড়া বাড়ি ‘সিল’ করেছিল সিবিআই। বাহানাগা বাজার, সোরো ও খান্তাপাড়া স্টেশনের সিগন্যাল ও রিলে রুম মেরামতিতে যুক্ত আমিরকে সে দিন সেখানে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকায় দেখা যায়নি আমিরকে। মঙ্গলবার হুগলির ডানকুনির বাড়ি থেকে আমিরকে সোরোর ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
তবে এ দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের কোনও কর্মী পলাতক নেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, “আমাদের বাহানাগা বাজারের কর্মীরা নিখোঁজ বলে বিভিন্ন মহলে বলা হচ্ছে। সেটা ঠিক নয়। আমাদের কর্মীরা সকলেই উপস্থিত আছেন। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির জিজ্ঞাসাবাদে সাহায্যও করছেন।”