প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামাতে জোর করেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি স্ত্রী। রাগে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ভরে দিয়েছিলেন বোতল। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার চন্দ্রশেখরপুর থানা এলাকায়। স্ত্রীকে নিগ্রহের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম চন্দন আচার্য। পেশায় তিনি অটোচালক। নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। তাদের ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য অনেক বছর ধরে অত্যাচার করছেন তাঁর স্বামী। সেই অত্যাচার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছয় দিন পাঁচেক আগে।
ওই দিনও আরও এক বার দেহ ব্যবসা করতে স্ত্রীকে চাপ দেন অভিযুক্ত। কিন্তু নির্যাতিতা মহিলা রাজি হননি। সন্ধ্যায় অসংলগ্ন অবস্থায় ঘরে ফিরে স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মারতে থাকেন ওই ব্যক্তি। এর পরই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ভরে দেন বোতল। অচৈতন্য অবস্থায় ঘরেই পড়ে থাকেন নির্যাতিতা। পরে জ্ঞান ফিরলে মাকে গোটা ঘটনার কথা জানান নির্যাতিতা। তিনিই খবর দেন পুলিশকে।
পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর মেয়েকে একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে। এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলাও দায়ের করে। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বিয়ের ৩ বছর পর থেকেই তাঁকে এই কাজ করার জন্য চাপ দিতেন অভিযুক্ত। রাজি না হওয়ায় মারধরও কর্তেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।