উপকূলে জলপথে নজরদারি চলছে। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মণিপুর, মেঘালয় এবং অসমের পর এ বার ওড়িশাও সীমানালাগোয়া এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকাগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করল। যদিও ওড়িশার সঙ্গে কোনও সীমানা ভাগ করে না বাংলাদেশ। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, অনেক সময় সমুদ্রপথে এবং ছোট ছোট জলপথ ধরে নৌকা করে ওড়িশায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন বাংলাদেশিরা। তাই সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নজরদারি আরও আঁটসাঁট করল ওড়িশা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪৮০ কিলোমিটার উপকূলরেখা বরাবর টহলদারি চালানো হচ্ছে জলপথে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না ওড়িশা সরকার। রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সঞ্জয় কুমার বলেন, “ছোট ছোট নৌকায় করে জলপথে ওড়িশায় মাঝেমধ্যেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশে জেল ভেঙে অনেক দুষ্কৃতী পালিয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, তারা ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে পারে। তাই ওড়িশাতেও নজরদারি আঁটসাঁট করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, কোনও দুষ্কৃতী বা জঙ্গি যাতে রাজ্যে ঢুকে পড়তে না পারে, তাই নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এডিজি আরও জানিয়েছেন, উপকূললাগোয় ১৮টি থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে সব জায়গাগুলি দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে, সেই সব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হয়েছে। উপকূলরক্ষা বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সঙ্গেও ক্রমাগত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এই দুই বাহিনীও জলপথে নজরদারি চালাচ্ছে।
গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত বাংলাদেশ। জায়গায় জায়গায় অশান্তি চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথে সেই দেশ। কিন্তু তার মধ্যেও বেশ কিছু বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের রাজ্যগুলিতে। অশান্তির সুযোগে বাংলাদেশে জেল ভেঙে বহু দুষ্কৃতী পালিয়েছে। সেই দুষ্কৃতীরা ভারতে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই রাজ্যগুলি অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে।