বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের ঘরে ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় রেল। শনিবার রাতে আহতদের নিয়ে হাওড়া পৌঁছল সেই ট্রেন। আগে থেকে স্টেশনে খোলা হয়েছিল চিকিৎসা শিবির। সমস্ত ব্যবস্থা পরিদর্শনে হাওড়া স্টেশনে গেলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী করলেন মোদী সরকারকে।
শনিবার রাত ৯টা ১০ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছল বিশেষ ট্রেন। তাতে বালেশ্বর থেকে আহত যাত্রীদের নিয়ে আসা হয়েছে। সমস্ত বিষয় সরেজমিনে দেখতে হাওড়া স্টেশন গিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন। রেলের তরফে শনিবার দুপুরে জানানো হয়েছে, ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। এই মৃত্যুর জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন।
ফিরহাদের অভিযোগ, যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে খেলা হচ্ছে। এখন উপরের চাকচিক্যই সার। তাঁর কথায়, ‘‘আগে রেলের বাজেট হত। সুরক্ষা খাতে খরচ হত। এখন উপরে চাকচিক্য, বন্দে ভারত। আর ভিতরে যাত্রীদের মেরে ফেলা হচ্ছে।’’ ফিরহাদ এও জানিয়েছেন, বালেশ্বর থেকে যাঁরা হাওড়ায় ফিরেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁদের চিকিৎসা ও বাড়ি ফেরানোর সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। ধাক্কার কারণে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে এবং নয়ানজুলিতে।
সেই লাইন দিয়ে তখন আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।