অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র।
চার দশকের ধারা মেনেই এ বারও ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কর্নাটকে। বুধবার অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, বিধানসভা ভোটে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বড় দল হতে পারে কংগ্রেস। কয়েকটি বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসকে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা দেওয়া হলেও অধিকাংশ সমীক্ষাতেই ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তেমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জেডি (এস)-এর ভূমিকা।
যদিও নির্বাচনে এমন বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু সরাসরি ভোটদাতাদের মত নেওয়ার এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই ধরনের সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন। আগামী শনিবার (১৩ মে) গণনার দিনেই আসল ফল জানা যাবে।
কর্নাটকের বুথ ফেরত সমীক্ষা।
ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় অন্তত ১২২টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে পারে কংগ্রেস। এমনকি, তা বেড়ে পৌঁছতে পারে ১৪০-এ! অন্য দিকে, বিজেপি ৬২-৮০ এবং জেডি(এস) ২০-২৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে। নির্দল ও অন্যদের ঝুলিতে যেতে পারে ০ থেকে ৩টি আসন। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেস ৪৩, বিজেপি ৩৫ এবং বিজেপি ১৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অন্য দিকে টুডে’জ চাণক্যর বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, কংগ্রেস ১২০, বিজেপি ৯২ এবং জেডিএস ১২টি আসনে জিততে পারে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ভোট পর্ব শেষের পরে বিধি মেনে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে থাকে। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৩টি আসন। এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে তাঁর দলের ঝুলিতে ১০০-১১২ কেন্দ্র যেতে পারে। বিজেপি ৮৩-৯৫, জেডি(এস) ২১-২৯ এবং নির্দল ও অন্যেরা ২-৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে।
ওই সমীক্ষা বলছে উপকূল কর্নাটক এবং বেঙ্গালুরু এলাকায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। অন্য দিকে, পুরনো মাইসুরু এলাকা এবং মধ্য কর্নাটক এবং হায়দরাবাদ কর্নাটক (কল্যাণ) এলাকায় এগিয়ে থাকতে পারে কংগ্রেস। বম্বে কর্নাটক (কিট্টুর) এলাকায় দু’পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা। এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষার পূর্বাভাস, কংগ্রেস ৪১, বিজেপি ৩৬, জেডি(এস) ১৫ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে।