রোগীকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ। ছবি সৌজন্য টুইটার।
মহিলা রোগীর চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন এক নার্স। পিছনে দেখা গেল আরও কয়েক জন নার্সকে। মহিলাকে টেনে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের বিছানায় ঠেলে শুইয়েও দেওয়া হল।
দাবি করা হচ্ছে, ভিডিয়োটি উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলা হাসপাতালের। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগীর সঙ্গে কোনও অভব্য আচরণ করা হয়নি। ইঞ্জেকশন নিতে অস্বীকার করছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গেও নাকি খারাপ আচরণ করেন।
সীতাপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমও) চিকিৎসক আর কে সিংহ ভিডিয়োটি দেখার পর দাবি করেছেন, ঘটনাটি ১৮ অক্টোবর রাতের। মহিলাকে ভর্তি করিয়ে দিয়েই তাঁর বাড়ির লোকেরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎই ওই রোগী হিংস্র হয়ে ওঠেন। শৌচালয়ের সামনে তাণ্ডব শুরু করেন। সিএমওর কথায়, “রোগিণী তাঁর চুড়ি ভাঙা শুরু করেন। পরনের শা়ড়ি ছিঁড়ে ফেলছিলেন। মহিলার এই মূর্তি দেখে ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। রোগীকে শান্ত করতে শেষমেশ নার্সরা ছুটে আসেন। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়।” তবে মহিলার সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করা হয়নি বলেও দাবি সিএমওর।
তাঁর আরও দাবি, মহিলাকে শান্ত করার জন্য ইঞ্জেকশন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি পাল্টা নার্সদের উপরই ঝাঁপিয়ে পড়েন। যদিও পরে তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়ে শান্ত করানো হয়েছিল। তার পর পরিবারের লোকজনকে ডেকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।”