বিস্ফোরণের সময়ে ওঠা ছবি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালামাসেরি এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে তৎপর হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)এবং এনএসজি। বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা। ওই দুই সংস্থা সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে শীঘ্রই সেখানে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।
ইতিমধ্যেই এনআইএ-র চার সদস্যের একটি দল কালামাসেরিতে পৌঁছেছে। প্রয়োজন বুঝে এনআইএ-র আরও প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন। পৌঁছেছে এনএসজির আট সদস্যের একটি দলও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল, সেই বিষয়ে অন্ধকারে তারাও।
রবিবার সকালে কালামাসেরি এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণটি ঘটে। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কনভেনশন সেন্টারটিতে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তিন দিন ধরে কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠান চলছিল। রবিবারই ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিন। রবিবার সেখানে প্রায় দু’হাজার জন ছিলেন বলে দাবি। সকাল ৯টা নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। তার পর আরও দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায়। কনভেনশন সেন্টারটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। চলছে উদ্ধারকাজ।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে , আইইডি (ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ব্যবহার করা হয়েছিল। যে কারণে বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল বেশি। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এক সময় কোচি লাগোয়া ওই এলাকা অধুনা নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র ঘাঁটি ছিল। যদিও অতীতে পিএফআই কখনও হিংসাত্মক ঘটনায় আইইডি ব্যবহার করেনি। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণে জখমদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। সব হাসপাতালকে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছুটিতে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। খোঁজখবর নিচ্ছি। শীর্ষ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্তের পরই সবটা জানা যাবে।’’
শনিবারই উত্তর কেরলের মালপ্পুরমে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা খালেদ মাশাল। জামাত-ই-ইসলামির যুব শাখা ‘সলিডারিটি ইউথ মুভমেন্ট’ ওই সভার আয়োজন করেছিল বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। অভিযোগ, ‘সেভ প্যালেস্তাইন’ শীর্ষক ওই সভায় খোলাখুলি ইজ়রালের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়। তার পরের দিনই বিস্ফোরণের এই ঘটনা নিয়ে সরগরম কেরলের রাজ্য রাজনীতি।