coronavirus

দ্বিতীয় টিকার সময়সীমায় ছাড় বিদেশযাত্রীদের

এই বিশেষ অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য, শহর, জেলা স্তরে নোডাল অফিসারও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ০৬:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি অথবা টোকিয়ো অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে যাবেন, এমন লোকজন ৮৪ দিনের আগেই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা পাবেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা (এসওপি) জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

Advertisement

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সই করা ওই নির্দেশিকা কলকাতা পুরসভার কমিশনার, সব জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও সুপার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলার পরিবার কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ৩১ অগস্টের মধ্যে যাঁদের আর্ন্তজাতিক ভ্রমণের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা নিতে পারবেন। তবে প্রথম টিকা নেওয়ার পরে ২৮ দিন অতিক্রান্ত হতেই হবে।

এই বিশেষ অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য, শহর, জেলা স্তরে নোডাল অফিসারও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হয়েছে, রাজ্য স্তরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (টিকাকরণ), কলকাতা পুরসভা এলাকায় পুর কমিশনার বা তাঁর অনুমোদিত ব্যক্তি এবং জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসার এই দায়িত্বে থাকবেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যাখ্যা, করোনা সংক্রমণ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এ বার পড়াশোনা, চাকরির সুযোগ বা অন্য বিশেষ কাজের জন্য কিছু মানুষকে বিদেশ যেতে হবে। তার জন্য কেন্দ্রের জারি করা 'এসওপি' মেনে রাজ্যেও যাতে সহজে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে। এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রে কো-উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে।

এ দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। এ দিন করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬,২৫৭ জনের। তবে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার সঙ্গে সুস্থ রোগীর সংখ্যার অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে 'অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্‌থ সার্ভিস ডক্টর্স'। এ দিনেও রাজ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকার প্রথমে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৯৬৬ জন। তার পরে রয়েছে কলকাতা (৪৮৫) ও পূর্ব মেদিনীপুর (৪৭৬)। অন্য দিকে, রাজ্যে করোনা যুদ্ধে এখনও সরকারি ও বেসরকারি স্তরে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই চলছে। যেমন, উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালের দুই মেডিক্যাল অফিসার, তিন জন নার্স এবং তিন জন জেনারেল ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্টকে এইচডিইউ এবং আইসিইউ-এ হাতেকলমে প্রশিক্ষণের জন্য সঞ্জীবন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত ৭ জুন থেকে শুরু করে ২০ জুন পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement