পোস্ট কলোনিয়াল অসম (১৯৪৭-২০১৯) বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ছবি: পিটিআই
অসমের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে নানা উদ্বেগ, আশঙ্কা রয়েছে। দেশে ফেরানোর গুজব যেমন রয়েছে, তেমনই অনাগরিক শিবিরে রাখার সম্ভাবনাও ঘুরছে জল্পনায়। তার মধ্যেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বললেন, অসমের নাগরিকপঞ্জি ‘বর্তমানের নথি নয়, ভবিষ্যতের ভিত্তি।’ একই সঙ্গে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ সাংবাদিকতার জন্য এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমকেও নিশানা করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এ বছরের ৩১ অগস্ট অসম নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। খসড়া তালিকায় ৪০ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছিলেন। ৩ কোটি ৩০ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে জায়গা হয়নি ১৯ লক্ষের। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন, জল্পনা। যদিও ফরেনার্স ট্রাইবুনাল এবং সর্বোচ্চ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতেই রবিবার ‘পোস্ট কলোনিয়াল অসম (১৯৪৭-২০১৯)’ নামে একটি বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন অসমের বাসিন্দা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। অনুষ্ঠানে এনআরসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সময় এটাই। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বর্তমানের কোনও নথি নয়। ১৯ লক্ষ বা ৪০ বাদ পড়াটা বিষয় নয়। এটা আসলে ভবিষ্যতের দলিলের ভিত্তি।’’
আরও পডু়ন: লক্ষ্য কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি, শীতে ফিদায়েঁ হামলা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা, সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের
আরও পড়ুন: সাড়ে পাঁচ বছরে ব্যবসা বেড়েছে ১৫০০০ শতাংশ! অমিত-পুত্র জয়ের বিরুদ্ধে তোপ কংগ্রেসের
সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বশীলতার কথা স্মরণ করিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ পরিবেশনের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’’ ঠিক কত সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী বাদ পড়তে চলেছেন, কেন এনআরসি করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই খবর প্রকাশ করা উচিত ছিল বলেও মত প্রকাশ করেন বিচারপতি গগৈ।