এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
সারা দেশে এনআরসি করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উল্টো সুরে অস্বস্তিতে পড়ল অসমের বিজেপি সরকার। রাজ্য এখন অসমের এনআরসি তথ্য যাচাই করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। তথ্যে ব্যাপক গরমিল পেলে আগের এনআরসি বাতিল করে নতুন এনআরসি করার দাবি জানানো হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন এনআরসি হবে দেশ জুড়ে। তার পরেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভা চলাকালীন চত্বরে দাঁড়িয়েই ঘোষণা করে দেন, দেশের সঙ্গেই অসমেও নতুন করে এনআরসি করা হবে। বাতিল হবে আগের এনআরসি। গোটা দেশের যে ভিত্তিবর্ষ হবে, নতুন এনআরসির ক্ষেত্রে সেটাই অসমে অনুসরণ করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত কাল ঘোষণা করেছেন, সারা দেশে এনআরসি করার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, প্রতীক হাজেলার নেতৃত্বে হওয়া আগের এনআরসি শুদ্ধ বলে রাজ্য সরকার যেমন মানে না, তেমনই আসু এবং এনআরসি সংক্রান্ত মামলার মূল আবেদনকারী ‘অসম পাবলিক ওয়ার্কস’ও ওই এনআরসি নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রথমে ২০ শতাংশ তথ্য পুনর্যাচাইয়ের আবেদন জানাবে। তথ্য যাচাই করে বর্তমান এনআরসির তথ্যের সঙ্গে ব্যাপক গরমিল পেলে আগের এনআরসি বাতিল করে নতুন এনআরসি করার দাবি জানানো হবে।
সুপ্রিম কোর্ট ২০ শতাংশ তথ্য পুনরায় যাচাইয়ের আবেদন তো ইতিপূর্বে এক বার খারিজ করেছিল? হিমন্তের ব্যাখ্যা, সুপ্রিম কোর্টে আমাদের হলফনামা দেওয়াই আছে। তা নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের মতামতও রয়েছে। তার ভিত্তিতেই পরের শুনানিতে আবেদন জানানো হবে।
এক সময় এনআরসি করানোর কৃতিত্ব দাবি করত কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। কিন্তু গোটা দেশে এনআরসি করা নিয়ে এখন অমিত-মোদী দুই সুর কেন? দেশ জুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়েই কি পিছু হটলেন মোদী? হিমন্ত বলেন, ‘‘অসম ও বাকি দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। অসমের এনআরসি তো মনমোহন সিংহ ও কংগ্রেস সরকারের কৃতিত্ব। আমরা ২০০৫-এ নেওয়া কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের রূপায়ণ করেছি মাত্র।’’