—প্রতীকী চিত্র।
এ বার আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ চালু করতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
নির্বাচন কমিশনই এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রকের কাছে। আইন মন্ত্রক সরকারি ভাবেই লোকসভায় জানিয়েছে, এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধন আনার জন্য আইন মন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নোট পাঠাবে।
নতুন ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আসবে? নির্বাচন কমিশন সূত্রের বক্তব্য, ওই আইনে সংশোধন হলে এখন যাদের ভোটার কার্ড রয়েছে, তাদের থেকেও আধার নম্বর সংগ্রহ করা হবে। যারা নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদেরও আধার কার্ড সংগ্রহ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন বহু দিন ধরেই ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ চাইছে। বস্তুত ২০১৫-র আগে নির্বাচন কমিশন নিজেই স্বেচ্ছায় আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ শুরু করে দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি ছিল, আধার কার্ডের সাহায্যে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব। একই নাম একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় যাতে না আসে, তা-ও রোখা সম্ভব। এই যুক্তি দিয়েই নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ শুরু করেছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও ব্যক্তি পরিসরের অধিকার নিয়ে আশঙ্কা ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫-র অগস্টে এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগেই অবশ্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩৮ কোটি ভোটারের আধার নম্বরের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্ত করে ফেলেছিল। সরকারি সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন নতুন করে আইন মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সম্প্রতি আইন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও সুশীল চন্দ্র এ বিষয়ে সওয়াল করেন। আইন মন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধন করে আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের ব্যবস্থা করা হোক। মন্ত্রক সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনকে আইনে সংশোধন করে আধার নম্বর সংগ্রহ করার ক্ষমতা দেওয়া হবে।