ছবি: সংগৃহীত।
চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি থেকে আসা জাহাজের যাত্রী ও কর্মীদের মুম্বইয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি করল বন্দর কর্তৃপক্ষ। মুম্বই পোর্ট ট্রাস্টের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা জাহাজের প্রত্যেক যাত্রী ও কর্মীদের নামের তালিকা নিচ্ছি। পরীক্ষা করে দেখছি, কে কে চিন থেকে এসেছেন বা চিনের নাগরিক। এমনকি মাঝসমুদ্রে যেখানে জাহাজ নোঙর করা হয়, সেখানেও স্ক্রিনিং হচ্ছে। জরুরি মনে হলে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আক্রান্ত আসেননি।’’
দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার সময়ে মাঝ আকাশে দু’বার বমি করায় এক চিনা যাত্রীকে পুণে বিমানবন্দরে নামার পরেই সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁকে ‘কোয়ারেন্টাইন’ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, বিমানটি সংক্রমণ-মুক্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে চিন, মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশ থেকে প্যাকেটবন্দি খাবার আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মণিপুর সরকার। রাজ্যের অতিরিক্ত খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার কে রাজো সিংহ জানান, রাজ্যের কেউ সরকারের আগাম অনুমতি ভিন্ন কোনও ধরণের খাবার বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে পারবে না। বিশেষ করে চিন ও দক্ষিণ-পূর্বের দেশগুলি থেকে আপাতত কোনও খাবার আনা যাবে না। দফতরের কর্মীদের সব জেলার বাজারগুলিতে নজর রাখতে বলা হয়েছে। জনতাকেও অনুরোধ করা হয়েছে চিন, মায়ানমার, তাইল্যান্ডে তৈরি খাদ্য বা পানীয় যেন কেউ না খান। রাজ্য সরকার জানায়, ১১ জানুয়ারি থেকে গত কাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন ব্যক্তি চিন, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর থেকে রাজ্যে এসেছেন। তাঁদের প্রত্যেককে নিজেদের বাড়িতেই কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মেলা ১৫০ জনকে আলাদা রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর। রাজ্যসভায় বিবৃতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, কেরলে আক্রান্ত ৩ জনের অবস্থা স্থিতিশীল। সংক্রমণ রুখতে দেশের ২১টি বিমানবন্দর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। চিন থেকে যাঁরা ভারতে আসতে চাইছিলেন, তাঁদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শোলের ভিডিয়ো ‘পাল্টে’ অমিত শাহ গব্বর সিং! আপের বিরুদ্ধে এফআইআর