পুলিশি জেরা শুরু হতে চলেছে ঐশীদের বিরুদ্ধে। ছবি: পিটিআই
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই সার্ভার রুম ভাঙচুরের অভিযোগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ ছাত্রের বিরুদ্ধে এ বার নোটিস জারি করল দিল্লি পুলিশ। এই ৯ জনের তালিকায় রয়েছে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নামও। পুলিশ সূত্রে খবর, আগামী সোমবার থেকে এই ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জেরা চলবে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত তথ্যপ্রমাণ হিসেবে ভাইরাল হওয়া ভিডিও, হোস্টেল ওয়ার্ডেন ও নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ানকেই হাতিয়ার করছে দিল্লি পুলিশ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ছাত্রীদের অপরাধদমন শাখার অফিসে আসার দরকার নেই। তাঁরা সুবিধে অনুযায়ী সময় ও জায়গা নির্বাচন করতে পারবেন। সেখানে পৌঁছে যাবেন মহিলা অফিসাররা।
পুলিশ আরও জানাচ্ছে, গোটা ঘটনায় আরও কয়েকজনের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁরা সন্দিহান। তাঁদেরও চলতি সপ্তাহেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রবিবার ক্যাম্পাসে হামলার আগের দিন সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে ঐশী-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
শুক্রবার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশ। ছবিগুলি অধিকাংশই স্পষ্ট ছিল না। তবে দিল্লি পুলিশ জানায়, সেই ছবির ভিত্তিতেই ৪ ও ৫ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসের সার্ভার রুমে ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তার আগে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার সময় সার্ভার রুমে ভাঙচুর করেছে বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের যে ছবি দিল্লি পুলিশ পেশ করেন, তাতে যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ, বিকাশ পাতিল নামে দুই এবিভিপি সমর্থকেরও ছবি ছিল। শনিবার জেএনইউ হামলার সঙ্গে যুক্ত ৩৭ জনকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, ‘ইউনিটি এগেনস্ট লেফট’ নামক ৬০ জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বহু সদস্য ৫ জানুয়ারি রবিবারের হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল। পুলিশের একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, সেদিনের হামলায় জড়িত এই গ্রুপের সদস্যদের ১০জন বহিরাগত।