প্রতীকী ছবি
ভার্চুয়ালি নয়, উপস্থিত হতে হবে সশরীরে। ফেসবুক কর্তাদের এমনই নির্দেশ দিল সাংসদ শশী তারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদের স্থায়ী কমিটি। নেটাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রোধে ফেসবুকের নীতিমালা খতিয়ে দেখছে ওই কমিটি। ফেসবুক প্রতিনিধিরা সংস্থার কোভিড নীতির কথা বলে সশরীরে কমিটির সামনে উপস্থিত হতে রাজি ছিলেন না। ফেসবুকের ভার্চুয়াল উপস্থিতির সেই অনুরোধ খারিজ করে দিল সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সমন পেয়ে শুক্রবার তার সদস্যদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন এ দেশে টুইটারের নীতি নির্ধারক বিষয়ক ম্যানেজার শগুফতা কাম্মান এবং আইনি পরামর্শদাতা আয়ুষি কপূর। নেটমাধ্যমের জন্য আনা নতুন নিয়মগুলি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করার জন্য তাঁদের তিরস্কার করে কমিটি। গুগল, ইউটিউব এবং অন্য বড় সংস্থাগুলোকেও এ বার ডেকে পাঠাবে ওই কমিটি। শুক্রবার এই কমিটি টুইটারকে দেশের আইন মেনে চলতে বলেছিল। কমিটি জিজ্ঞাসা করেছিল যে নতুন আইটি বিধি অনুযায়ী ফেসবুক কেন এখনও ভারতে পূর্ণ সময়ের মুখ্য অভিযোগকারী অফিসার নিয়োগ করেনি? জবাবে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি টুইটারের কর্তারা।
পরে টুইটারের মুখপাত্র বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি আইনের উপর গঠিত স্থায়ী কমিটির কাছে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত টুইটার। স্বচ্ছতা, বাক্স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকার সংক্রান্ত আমাদের নীতির উপর ভিত্তি করে অনলাইনে এ দেশের নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতেও টুইটার প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে বুধবার এ দেশে আইনি রক্ষাকবচ হারিয়েছে টুইটার। আমেরিকার এই মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটিই প্রথম সংস্থা যাদের উপর থেকে এই রক্ষাকবচ সরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জেরে টুইটারে পোস্ট করা সমস্ত টুইটের দায় নিতে বাধ্য থাকবে তারা।