-ফাইল চিত্র।
এই ভাবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করা সম্ভব নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সমালোচনা করলেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত আইপিএপ্রিয়ঙ্কা গাঁধীর উপর হওয়া পুলিশি হেনস্থার তীব্র নিন্দা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।স অফিসার আর এস দারাপুরির বাড়িতে যাওয়ার সময় লখনউয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগও তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া, ঘাড় ধরে টেনে তোলার মতো নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে ওই দিন, এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এই ঘটনার নিন্দা করেই শত্রুঘ্ন সিনহা টুইট করেছেন, ‘‘পুলিশ দেশের নেহরু-গাঁধী পরিবারের ‘বেটি’র সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, লখনউয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে মৃত, গুলিবিদ্ধ এবং গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি।’
আরও পড়ুন: ‘ধাক্কা মেরে ফেলে দিল’, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রিয়ঙ্কার
এত অপমান সহ্য করেও নির্ধারিত কর্মসূচিতে অটল থাকার জন্য এবং প্রতিশ্রুতি মতো তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাঁর বার্তা, ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল এ ভাবে করা যায় না স্যর।’
তাঁর উপর হওয়া পুলিশি হেনস্থা প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, ওই দিন দলীয় সমর্থকদের নিয়ে তিনি যখন দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর কনভয় আটকায় লখনউ পুলিশ। অভিযোগ, এর পরই মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে এক জন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলেও দাবি করেন প্রিয়ঙ্কা। অন্য এক জন মহিলা পুলিশকর্মী তাঁর গলা টিপে ধরেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পর এক সমর্থকের স্কুটারে চেপে ফের দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু দু’কিলোমিটারের মধ্যেই ফের তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। শেষে হেঁটে দারাপুরির বাড়িতে পৌঁছন তিনি। রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রিয়ঙ্কার এই সব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছে।