— ফাইল চিত্র।
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজিতে প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। উঠেছে পরীক্ষা বাতিলের দাবিও। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে আদালতে জানানো হল, পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই। পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে লক্ষ লক্ষ সৎ পরীক্ষার্থী বিপদে পড়বেন। কেন্দ্রীয় সরকার আরও দাবি করেছে, নিটে বড় মাপের অনিয়মের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (নিট) পরিচালিত নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নিটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ বছরের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। সেই আবেদন জানিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। আদালতের তত্ত্বাবধানে এই দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন মামলাকারীরা। এই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে পৃথক ভাবে কেন্দ্র এবং এনটিএকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জবাব তলব করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই শুক্রবার হলফনামা দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই হলফনামাতে কেন্দ্রের দাবি, সিবিআই কথিত অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করছে। পরীক্ষার পবিত্রতা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, পুরো পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে নয় সরকার। পরীক্ষা বাতিল হলে যাঁরা সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁদের বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। তাই ইতিমধ্যেই ঘোষিত ফলাফল বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। এ ছাড়াও, এই নিটে বড় মাপের অনিয়মের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে নিট মামলার শুনানি হচ্ছে। কাউন্সেলিং স্থগিত রাখার দাবিও ওঠে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তাতে কান দেয়নি। সফল পরীক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনটিএ-কে বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আগে তাঁরা এনটিএ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব শুনতে চান। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের বক্তব্য না শুনে এই তদন্তের ভার সিবিআইকে দিতেও রাজি নয় শীর্ষ আদালত।