কোডিয়ারি বালকৃষ্ণনের মরদেহে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের।
সিপিএমের কেরল এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাঁদের জুটি ছিল অবিচ্ছেদ্য। যে কোনও সমস্যায় বা সঙ্কটে দু’জনে সব সময়ে দাঁড়িয়েছেন পরস্পরের পাশে। কোডিয়ারি বালকৃষ্ণন যখন রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পিনারাই বিজয়ন তখন দলের রাজ্য সম্পাদক। আবার বিজয়ন যখন এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দফায়, দলের রাজ্য সম্পাদক তখন বালকৃষ্ণন। তাঁর চেয়ে প্রায় ১০ বছরের ছোট বালকৃষ্ণনের প্রয়াণে তিনি ‘ভাতৃপ্রতিম কমরেড’ নয়, ভাইকেই হারালেন বলে মন্তব্য করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য ও কেরলে দলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক বালকৃষ্ণন। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে শনিবার রাতে ৬৮ বছর বয়সেই তাঁর লড়াই শেয হয়ে যাওয়ার পরে রবিবার তাঁর দেহ কান্নুরে নিয়ে এসে তালাসেরি টাউন হলে রাখা হয়েছিল। শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় হয়েছিল বিপুল। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন-সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও শাসক দলের নেতারাও সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আবেগাপ্লুত বিজয়ন তাঁর শোক-বার্তায় লিখেছেন, ‘অনেকে বলেন, কোডিয়ারি আমার ভাইয়ের মতো ছিলেন। আমি জানি, কোডিয়ারি ভাইয়ের মতো নয়, আমার ভাই ছিলেন। ভাইকে হারালাম আমি। যে ভালবেসে দলটা করতো, আগলে রাখতো’! সাতের দশকে জরুরি অবস্থার সময়ে কান্নুর জেলে একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন দু’জনে। বালকৃষ্ণন সিপিএমের কান্নুর জেলা সম্পাদক হওয়ার সময়ে কী কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল দলকে, সে সব কথাও স্মরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য এবং এ রাজ্যে দলের সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও এ দিন বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটবুরোয় একসঙ্গে কাজ করেছি। কান্নুরে গত পার্টি কংগ্রেসের সময়েও সব দিক খেয়াল রেখেছেন। সমস্যার সময়ে তিনি যে ভাবে দল চালিয়েছিলেন, তা শেখার মতো। তাঁর অকাল প্রয়াণে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শূন্যস্থানের মোকাবিলা করতে হবে দলকে।’’ কোডিয়ারিতে তাঁর বাড়ি ঘুরে আজ, সোমবার পায়াম্বলম সৈকতে বালকৃষ্ণনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।