২০১৭-র মার্চে যোগী ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। —ফাইল চিত্র।
তিনি ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রচুর উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর জমানায় দেশের বৃহত্তম রাজ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই দাবি ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, ভোটের মুখে রাজ্যের উন্নতির ছবি তুলে ধরতেই এমন কথা বলেছেন বিজেপির অধুনা ‘পোস্টার বয়’। যোগীর এই দাবি ঘিরে কটাক্ষও করছেন অনেকেই।
২০১৭-র মার্চে যোগী ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হংসরাজ আহির গত বছর ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় জানান, শুধু ২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশে ১৯৫টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। পরবর্তী সময়েও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নানা রকম সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এগুলির মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির উদ্যোগে গত বছর জানুয়ারিতে কাসগঞ্জে ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ ঘিরে অশান্তি বড় আকার নেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। যোগী ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরেই সহারনপুরেও বড় গোলমাল বেধেছে। তাতে প্রাণহানিও ঘটেছে। গত বছরই গোমাংস ঘিরে গুজবের জেরে বুলন্দশহরে এক পুলিশ অফিসার-সহ ২ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, গবাদি পশু সংক্রান্ত গুজবের জেরে গণপিটুনি, জাতপাতের সংঘর্ষের ঘটনাও লাফিয়ে বেড়েছে যোগী রাজ্যে।
আর যাদের হাতে রাজ্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব সেই পুলিশের অবস্থাও যে সুবিধের নয়, তারও একাধিক প্রমাণ মিলেছে। কখনও গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। কখনও গুলিছাড়া পিস্তল নিয়ে অপরাধীকে ‘ঠাঁই-ঠাঁই’ আওয়াজ করে ভয় দেখিয়েছে যোগী রাজ্যের আইনরক্ষকরা।