Noida Twin Tower

Noida Twin Tower: নয়ডার জোড়া বাড়ির ভগ্নাবশেষের ধাক্কা পাশের আবাসনের পাঁচিলে! তার পর কী ঘটল

অট্টালিকা দু’টিকে ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যমজ অট্টালিকাকে গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় চার হাজার কেজি বিস্ফোরক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ১৭:৩৮
Share:

দুই অট্টালিকার ধ্বংসের সেই ছবি। ফাইল চিত্র।

নয় বছর ধরে নয়ডার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যমজ অট্টালিকা কয়েক সেকেন্ডে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হল। রবিবার দুপুর আড়াইটে ডিনামাইট বিস্ফোরণে ধ্বংস করা হয়েছে এই অবৈধ অট্টালিকা। যে সংস্থা এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আশপাশে কোথাও কোনও ক্ষতি হবে না। তবে বিশাল উচ্চতার দুই যমজ কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ মাটিতে পড়তেই কিছুটা দুলে উঠেছে এলাকা। ধাক্কা লেগেছে পাশের ‘এটিএস ভিলেজ’ নামে একটি আবাসনের দেওয়ালে। যদিও তাতে ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

নয়ডার ওই যমজ অট্টালিকা প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। একটির নাম ছিল ‘অ্যাপেক্স’, অন্যটি ‘সিয়েন’। ২০০৫ সালে সেক্টর ৯৩এ-তে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল নির্মাণ সংস্থা সুপারটেক। অট্টালিকাগুলির উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন।

২০০৬-এ আরও জমি দেওয়া হয় নির্মাণ সংস্থাকে। ২০০৯ সালে স্থির করা হয়, আরও দু’টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল ‘অ্যাপেক্স’, অন্যটি ‘সিয়েন’। ২৪ তলা পর্যন্ত এই যমজ অট্টালিকা বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৩২ তলা এবং ২৯ তলা করা হয়। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

Advertisement

নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়েন’কে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২-র ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। পরে অট্টালিকা দু’টিকে ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যমজ অট্টালিকাকে গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় চার হাজার কেজি বিস্ফোরক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement