পোশাক খোলানোর ঘটনায় প্রিন্সিপালের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। ছবি: সংগৃহীত।
ঝাড়খণ্ডের একটি স্কুলে ছাত্রীদের পোশাক খুলিয়ে বাড়ি পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মধ্যেই জেলা প্রশাসন দাবি করল, ভুল কিছু করেননি প্রিন্সিপাল। তদন্তের পর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনায় আপত্তিজনক কিছু দেখছে না তারা।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের একটি স্কুলে কয়েক জন ছাত্রীকে পোশাক ছাড়াই বাড়ি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। দশম শ্রেণির পরীক্ষার শেষ দিনে পরস্পরের পোশাকে নানা রকম বার্তা লিখে দিয়েছিল ছাত্রীরা। সেই ‘অপরাধে’ ৮০ জন ছাত্রীর জামা খোলানো হয়। তার পর শুধু ব্লেজ়ার পরিয়েই বাড়ি পাঠানো হয়। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। প্রিন্সিপালের এই ধরনের কাণ্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
ঘটনাটি নিয়ে চাপ বাড়তে শুরু করে। তদন্তের ভার দেওয়া হয় মহকুমাশাসক তাজেশ কুমারকে। তাঁর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সোমবার সেই দল রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্তকারী দলের দাবি, দু’পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে তারা। মহকুমাশাসকের দাবি, অভিভাবক এবং তদন্তকারী দলকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়েছে। তবে আপত্তিজনক কোনও কিছুই উঠে আসেনি সেই তদন্তে।
গত বৃহস্পতিবার ধানবাদের একটি নামী স্কুলে পরীক্ষার শেষ দিন ‘পেন ডে’ উদ্যাপন করছিল পড়ুয়ারা। আর সেই উপলক্ষে একে অপরের জামার পিছনে নানা রকম বার্তা লিখে দিচ্ছিল। বিষয়টি দেখে আপত্তি জানান প্রিন্সিপাল। অভিযোগ, তার পর তাদের জামা খুলিয়ে শুধু ব্লেজ়ার পরিয়েই বাড়ি পাঠান। এই ঘটনার পর অভিভাবকেরা প্রিন্সিপালের শাস্তির দাবিতে সরব হন। ডেপুটি কমিশনারের অফিসেও যান অনেক অভিভাবক। বিষয়টি নিয়ে যখন বিক্ষোভের আঁচ বাড়তে শুরু করে, প্রিন্সিপাল তাঁর এই কাজের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।