স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল ছবি।
জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস বন্ধ না হওয়া ইস্তক পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাবে না ভারত, রবিবার একটি নির্বাচনী সভায় এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নওশেরায় একটি জনসভা থেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী জোট এনসি এবং কংগ্রেসকেও কড়া আক্রমণ করেন তিনি। বিশেষত এনসি যে ভাবে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে, তার নিন্দা করেন শাহ।
শাহ এ দিন সরাসরি এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লাকে উদ্দেশ করেই বলেন, ‘‘ফারুক সাহেব, কেউ ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। যারা শেখ আবদুল্লার পতাকা ফিরিয়ে আনতে চান, জেনে রাখুন, জম্মু-কাশ্মীরে কেবল তিরঙ্গাই উড়বে।’’ মোদী সরকারের আমলে কাশ্মীরের উন্নতির দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন এখানে বাঙ্কারের প্রয়োজন হয় না। কারণ এখন আর কেউ গুলি চালানোর সাহস পায় না।’’ তার পরেই পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে তিনি যোগ করেন, ‘‘যদি ওদিক থেকে গুলি আসে, গুলিতেই তার জবাব দেওয়া হবে।’’
শাহ এ দিন স্পষ্ট করে দেন যে, সন্ত্রাস নির্মূল না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় যাবে না ভারত। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা (বিরোধীরা) চান, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলি। পরিষ্কার বলছি, সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলব না। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের যুবসমাজের সঙ্গে কথা বলব, পাকিস্তানের সঙ্গে নয়। ওঁরা (বিরোধীরা) চান, জঙ্গিদের জেল থেকে মুক্ত করতে। মোদীজি আসার পরে একটি একটি করে জঙ্গি দমন করা হয়েছে। কোনও জঙ্গি, কোনও পাথর ছোড়া-দের মুক্ত করা হবে না। বিজেপি কথা দিচ্ছে, কোনও জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে জেলের বাইরে থাকবে না।’’ শাহ মনে করিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের প্রাবল্য ছিল। ৪০ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তাঁর টিপ্পনী, ‘‘ফারুক সাহেব, সেই দিনগুলোতে আপনি কোথায় ছিলেন? আমি বলছি, যখন কাশ্মীর জ্বলছিল, ফারুক সাহেব লন্ডনে ছুটি কাটাচ্ছিলেন!’’
সংরক্ষণের প্রশ্নেও বিরোধীদের বিঁধেছেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে পার্বত্য এলাকার বাসিন্দাদের সংরক্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেছেন। কিন্তু বিজেপি তা হতে দেবে না। শাহের দাবি, কংগ্রেস-এনসি-পিডিপি গত ৭০ বছর ধরে পার্বত্য এলাকাবাসীদের সংরক্ষণের অধিকার আটকে রেখেছিল। বিজেপি সেই অধিকার দেওয়ার পরে তারা গুজ্জরদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে শাহ বলেন, ‘‘রাহুল বাবা, আমরা আপনাকে সংরক্ষণ তুলতে দেব না। ৮ অক্টোবরের পরে আপনার মহব্বত কি দুকান বন্ধ হয়ে যাবে।’’