—প্রতীকী ছবি।
গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনের ব্যালটে ‘নোটা’ (নান অব দ্য অ্যাবাভ) অপশন থাকছে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যসভা নির্বাচনের ব্যালটে কেন নোটা? প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস, বিজেপি দুই দলই। তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বিজেপি আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায়নি। কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা হবে না। গুজরাতের রাজ্যসভা ব্যালটে নোটা অপশন রাখার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।
রাজ্যসভার নির্বাচনে সাধারণ নাগরিকরা ভোট দেন না। বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত হন রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল রাজ্যসভা নির্বাচনে নিজেদের বিধায়কদের উপর হুইপ জারি করতে পারে। হুইপ জারি করা হলে প্রত্যেক বিধায়ক নিজের ব্যালটটিকে বাক্সে ফেলার আগে নিজের দলের মনোনীত এজেন্টকে দেখাতে বাধ্য থাকেন। দল যাঁকে ভোট দিতে বলেছে, হুইপ অগ্রাহ্য করে যদি কোনও বিধায়ক তাঁর বদলে অন্য কাউকে ভোট দেন, তা হলে ওই বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। এই ব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। দাবি কংগ্রেসের। ব্যালটে নোটা রাখার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন প্রকারান্তরে হুইপ অমান্য করার অধিকারই দিয়ে দিচ্ছে বিধায়কদের, বলছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: লালুর পর বিজেপির নিশানায় এ বার মমতা
সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘রাজ্যসভা নির্বাচনে নোটার ব্যবস্থা রাখার কোনও সাংবিধানিক সংস্থান নেই, নির্বাচন কমিশনের তরফেও কখনও এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।’’ কিন্তু কমিশন জানিয়েছে, এটা নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নয়। ২০১৪ সালেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস বিধায়কদের ‘আগলে’ রাখা মন্ত্রীর বাড়িতে আয়কর হানা
গুজরাতের রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে এখন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল প্রার্থী হয়েছেন গুজরাত থেকে। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতা শঙ্করসিন বাঘেলার দলত্যাগ এবং তার জেরে কংগ্রেসের বিধায়ক দলে ভাঙন শুরু হওয়ায় আহমেদ পটেলের জয় নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে। পটেলের জয় নিশ্চিত করতে ৪২ জন বিধায়ককে গুজরাত থেকে রাতারাতি বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও কংগ্রেস স্বস্তিতে নেই। নির্বাচনে ক্রস ভোটিং হতে পারে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব আশঙ্কা করছে। ব্যালটে নোটার ব্যবস্থা থাকায় ক্রস ভোটিং-এর পথ আরও প্রশস্ত হবে বলে কংগ্রেস নেতাদের একাংশ মনে করছেন।